জিকে শামীমের দেহরক্ষীরা অস্ত্রের লাইসেন্স পেল কিভাবে: হাইকোর্ট
৩ মার্চ ২০২০ ১৩:৪২
ঢাকা: ক্যাসিনোর ঘটনায় গ্রেফতার জিকে শামীমের চার দেহরক্ষী কোন যোগ্যতায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ চার দেহরক্ষীর আয়কর রিটার্ন এবং তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা কেন হয়েছে, সে বিষয়ে আগামী ৫ মার্চ হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চার দেহরক্ষীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির সময় মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তাদের পক্ষের আইনজীবীকে এ নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
চার আসামি হলেন, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন ও মো. শামশাদ হোসেন।
জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত গত ৩ ফেব্রুয়ারি কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ১০ দিনের সময় দিয়ে রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানিতে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শামীম সরদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা, কাজী শামসুন নাহার কনা ও ঈশিতা পারভীন।
পরে আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানিতে আদালত জানতে চেয়েছেন কিভাবে তারা অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কেন অস্ত্র মামলা হলো ইত্যাদি। এসব বিষয়ে আমরা ফাইল রেডি করছি। আগামী শুনানিতে দাখিল করার চেষ্টা করবো।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিকে শামীমকে অবৈধ চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসার (ক্যাসিনো) সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধ গ্রেফতার করা হয়। আর এই আসামিরা হলেন তার দুষ্কর্মের সহযোগী। গুলশান থানার মামলায় তাদেরকে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাচারের জন্য জিকে শামীমের বিপুল পরিমাণ দেশি বিদেশি মুদ্রা দখলে রাখাসহ সকল অপকর্মের সহযোগী।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করলে গত ২৪ ডিসেম্বর তারা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।