কোভিড-১৯: পরীক্ষার জন্য আইসোলেশনে আছেন ৫ জন
৩ মার্চ ২০২০ ১৪:০৫
ঢাকা: জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, কোভিড-১৯ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচজন আইসোলেশন ইউনিটে আছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও কারোর মধ্যেই ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই চীন থেকে এসেছেন। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আগত বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকরাও আছেন। আবার দেখা গেছে কেউ হয়তো আক্রান্ত দেশ থেকে আসেন নাই কিন্তু ট্রানজিটে সেইসব দেশে ছিলেন তাদেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যখনই আমরা কোনো রোগী সন্দেহ করি বা বিদেশ ফেরত কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখি তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। এরপরে নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল জানার পরে আমরা তাদের রিলিজ করি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেই।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৫ বাংলাদেশির মধ্যে আরও একজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এ নিয়ে মোট তিনজন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেন। আরও একজন সুস্থ। তাকেও যেকোনো সময় বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আইসিইউতে থাকা একজন বাংলাদেশির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনও পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আক্রান্ত দেশ থেকে আসা পর্যটকদের বিষয়ে তথ্য দিতে আবাসিক হোটেল মালিকদের বলা হয়েছে। তবে তারা যাতে হেয় না হন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। হোটেলগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশ থেকে আসেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের দেখা যায় সেবা নেওয়ার জন্য তারা বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেক্ষেত্রে যদি সন্দেহজনক কোনো রোগী থাকে তবে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রেখে যেন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারি তাই আমরা হাসপাতালগুলোকে অনুরোধ করেছি।’
বাংলাদেশে এখন আমাদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার সক্ষমতা আছে। এজন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নমুনা পাঠানো দরকার নেই বলেও জানান তিনি।