Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে


৩ মার্চ ২০২০ ১৬:০০

ঢাকা: ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে, জানুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এক ব্রিফিংয়ে এমএ মান্নান এসব তথ্য প্রকাশ করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘করোনাভাইরাসে দেশে পণ্য সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। করোনার কারণে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবই। আমরা পণ্য প্রক্রিয়াজাত করি। বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করার কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি। পদ্মাসেতুর স্প্যান এখনও দুয়েকটা বাকি রয়েছে, সেগুলো চীনের উহানে তৈরি হয়। ফলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে, জানুয়ারিতে যা ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশে, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ।

এমএ মান্নান জানান, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে, জানুয়ারি মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, জানুয়ারিতে যা ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গীস।

কমেছে ফেব্রুয়ারি মূল্যস্ফীতি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর