কারা চিকিৎসক নিয়োগে বাধা ‘করোনা ভাইরাস’!
৪ মার্চ ২০২০ ১৯:৫১
ঢাকা: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই মুহূর্তে দেশের কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগে দিলে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা ব্যহত হতে পারে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে হাইকোর্টে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন করোনাভাইরাস সংকট নিরসনের পর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসকদের কারা হাসপাতালে সংযুক্তিতে দেওয়া হবে।
বুধবার (৪ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আইন অনুবিভাগ থেকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালতে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত কারণে জরুরি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কিছু চিকিৎসক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছে। এ অবস্থায় একসঙ্গে বেশি সংখ্যক চিকিৎসক সংযুক্তিতে কারা হাসপাতালে পদায়ন করলে হাসপাতালগুলোর নিয়মিত চিকিৎসাসেবা ব্যহত হতে পারে। তাই পরবর্তীতে আসন্ন করোনাভাইরাস সংকট নিরসনের পরে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক কারা হাসপাতালে সংযুক্তিতে দেওয়া হবে।
হাইকোর্টের আদেশের পর গত ১৩ জানুয়ারি ১৩ জন, ২১ জানুয়ারি দুই জন এবং ৩ মার্চ ৫৩ জন চিকিৎসককে কারা হাসপাতালে সংযুক্তির তথ্য ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে জানানো হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশের কারা হাসপাতালগুলোর শূন্যপদে ১১৭ জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, কারা চিকিৎসক সংকট নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।
পরে ২০১৯ সালের ২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়।