নওফেলের নির্বাচনি কার্যালয় থেকে রেজাউলের ‘নির্বাচন যাত্রা’
৪ মার্চ ২০২০ ২১:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর কে সি দে রোডে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। কার্যালয়টি যে জায়গাতে বসানো হয়েছে, সেটি প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের মালিকানাধীন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিনের সন্তান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্বাচনি কার্যালয়ও করা হয়েছিল একই জায়গায়।
বুধবার (৪ মার্চ) বিকেলে এই কার্যালয় উদ্বোধনের সময় নির্বাচন সমন্বয়কারী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নগর কমিটির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কোতোয়ালি আসনের সাংসদ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্বাচনি কার্যালয় যেখানে ছিল, একই স্থানে রেজাউল ভাইয়ের জন্যও করা হয়েছে। আপাতত আমরা এটাকে প্রচার সেল বলছি। তবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর এটা আমাদের প্রধান নির্বাচনি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘কে সি দে রোডের জায়গাটি আমাদের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পারিবারিক সম্পত্তি। রেজাউল ভাইয়ের পছন্দ অনুযায়ী এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে এখানে প্রধান নির্বাচনি কার্যালয় করা হয়েছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের সভানেত্রী মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছেন। এই নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। আমাদের মধ্যে সংকীর্ণতা, বিভক্তি, বিভাজন থাকলে এর প্রভাব মেয়র নির্বাচনে পড়বে। দলের জন্য অনেকের অনেক মেধা-শ্রম আছে। অনেকে ঝুঁকি নিয়েছেন, অনেকে জেল-জুলুম সয়েছেন, এটাই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। আজকের দিন শেষ দিন নয়। আরও দিন আছে। একদিনে সব শেষ হয়ে যাবে না। আশা করি আপনারা সেভাবে চিন্তা করে ত্যাগী মনোভাবের পরিচয় দেবেন।’
বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রসঙ্গে নাছির বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের নেতা নির্বাচনি সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সবাইকে নিয়ে বসবেন। আপনারা যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, যারা মনোনয়ন পাননি এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের সবাইকে নিয়েই বসবেন।’
নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘২৯ মার্চ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। আমার দল আওয়ামী লীগ রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি আমার কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এটা আমার জন্য গৌরব ও অহংকারের। উনাকে বিজয়ী করাটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’
মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমার কৃতজ্ঞতা জননেত্রীর প্রতি। তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এটা আমি রেজাউলের নয়, এটা নৌকার নির্বাচন। যখন নৌকার প্রতীক চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন পৃথিবীর কোনো শক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভাইদের দমাতে পারে না। তারা জেগে ওঠে। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নেমে পড়ব। দোয়া চাই, সুস্থ থেকে যেন নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কোনো বক্তব্য দেননি। পরে সেখানে দোয়া মাহফিলে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নগর কমিটির উপদেষ্টা সফর আলী, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর কমিটির সহসভাপতি নঈম উদ্দিন আহমদ, খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, মহিলা লীগ সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম ফারুক ছিলেন।
চসিক নির্বাচন নির্বাচনি কার্যালয় প্রধান নির্বাচনি কার্যালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী