Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপাতত ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলবে


৫ মার্চ ২০২০ ১০:১৬

পদ্মাসেতু রেলসংযোগ প্রকল্প এলাকা থেকে ফিরে: আগামী বছরের মাঝামাঝি চালু হবে পদ্মাসেতু। কিন্তু একই দিন সেতুতে রেল চলার যে ঘোষণা আছে তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় পিছিয়ে পড়া পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। পদ্মাসেতু চালুর দিন কেবল ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ট্রেন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।

পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত এ রেল রুটের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার। এখনও এই রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। পদ্মাসেতুর প্রকল্পের অগ্রগতি যেখানে ৮০ শতাংশের উপরে সেখানে রেল সংযোগের অগ্রগতি মাত্র ২৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় কিভাবে আগামী বছরের মাঝামাঝি পদ্মাসেতুতে রেললাইন চালু করা হবে, এমন প্রশ্নে পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশটুকু চালু করা যেতে পারে। সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কারণ এ অংশটুকুর কাজ এগিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তারা মনে করছেন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিনই তারা মাওয়া-ভাঙ্গা অংশ রেল চালাতে সক্ষম হবেন।

পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পানগাঁও থেকে রেললাইন উড়াল পথে ফ্লাইওভারের মত প্রায় ২২ কিলোমিটার। এ অংশে এখন বেশকিছু স্থানে খুঁটি উঠে গেছে। ধলেশ্বরী নদীর কাছে দুটি খুঁটিতে একটি ভায়াডাক্ট বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাই প্রথম এই প্রকল্পের দৃশ্যমান অংশ। এছাড়া বাকি অংশে এখনও মাটির গঠন কাজ চলছে। বাকি রয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজও।

রেল সংযোগের কাজ করছে চায়না রেলওয়ে। তারা জানায়, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দ্র্রত না শেষ করতে পারলে এ প্রকল্প আরও পিছিয়ে যাবে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

https://www.facebook.com/Sarabangla.net/videos/vb.528694010824345/521720508547692/?type=2&theater

১৬৯ কিলোমিটারের পদ্মা রেল সংযোগ রুট চারটি সেকশনে ভাগ হবে। প্রথম সেকশন ঢাকা থেকে গেণ্ডারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার। দ্বিতীয় সেকশন গেণ্ডারিয়া থেকে মাওয়া ৩৭ কিলোমিটার, তৃতীয় সেকশন মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং চুতর্থ সেকশন হবে ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার।

এই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মালবাহী ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে। প্রকল্পের মধ্যে ৬৬টি বড় ব্রিজ, ২৪৪টি ছোট ব্রিজ এবং মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোড ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। ৩০টি লেভেল ক্রসিং হবে এর মধ্যে ১৩টি স্পেশাল ক্লাস, এ ক্লাস ১টি, বি ক্লাস ৮টি এবং সি ক্লাস ৮টি নির্মাণ করা হবে।

নতুন এ রেল রুটে ১০০ ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সরবরাহ করা হবে। যার মধ্যে ৪টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লীপার কার, ১৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার, ৫২টি শোভন চেয়ার কার, ১৮টি প্যান্ট্রি ও গার্ডব্রেকসহ শোভন চেয়ার কার এবং ১০টি পাওয়ার কারসহ শোভন চেয়ার কার চলবে।

রেললাইনটি ঢাকা-যশোরের মধ্যে ১৮৪ কিলোমিটারের দূরত্ব কমাবে। ঢাকা-খুলনার মধ্যে কমাবে ২১২ কিলোমিটার দূরত্ব এবং ঢাকা দর্শনার মধ্যে কমিয়ে আনবে ৪৪ কিলোমিটার দূরত্ব।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের অধীনে কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া, জাজিরা, শিবচর, ভাঙ্গা জংশন, নগরকান্দা, মকসুদপুর, মহেশপুর লোহাগড়া, নড়াইল, জামদিয়া ও পদ্মাবিয়া জংশন এলাকাসমূহে নতুন ১৪টি স্টেশন ভবন ও ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। আর বিদ্যমান ৬ টি স্টেশন গেণ্ডারিয়া, ভাঙ্গা, কাশিয়ানী জংশন, সিঙ্গিয়া, ও রুপদিয়া স্টেশনের সংস্কার করা হবে।

পদ্মাসেতু রেলসংযোগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর