স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় এসএমই খাত এগুচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মার্চ ২০২০ ১৩:২৮
ঢাকা: বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাত নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা কারোই নেই। এজন্য এসব পণ্যকে ঠিকমতো বাজারজাত করা যায়না। তাই এই সম্ভাবনাময় খাতটি এগুচ্ছে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৮ম জাতীয় এসএমই মেলা-২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এমন মত দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসএমই সেন্টার রয়েছে। যেখানে প্রণোদনার পাশাপাশি, নীতি সহায়তা এমনকি এ নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে স্কলারশিপও মেলে। একমাত্র ভিন্ন চিত্র বাংলাদেশে। এখানে উদ্যোক্তাদের মধ্যে সঠিক ধারণা না থাকায় তারা ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী কোনো পরিকল্পনা করতে পারে না। কম সুদে ঋণ পায় না, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে নেই তাদের কোনো ধারণাও। অথচ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
মোমেন বলেন, নারীদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিলে বাসাবাড়িতেই প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়বে। এতে তথ্য প্রযুক্তি খাতেরও প্রসার বাড়বে। তাই এ খাত নিয়ে সুনিদির্ষ্টভাবে ভাবার সময় এসেছে। এছাড়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে দূতাবাস ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ এর বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে। এখানেই সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। আমাদের আরো ৫ শতাংশ দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমাতে হবে। এজন্য এসএমই খাতকে প্রোমোট করতে হবে।
এছাড়া, সেমিনারে জানানো হয়, এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলো এখনো অবেহিলত রয়ে গেছে। এসএমই খাতের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে অভ্যন্তরীণভাবে পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়বে। বাড়বে মোট দেশজ উৎপাদন। তবে, আর্থিক সহায়তা না পাওয়া, ব্যবস্থাপনা সমস্যা, অর্থায়নে প্রবেশাধিকার, নীতিগত অসঙ্গতি ও আমলাতান্ত্রিক কিছু বড় চ্যালেঞ্জের কারণে বাংলাদেশের এসএমই খাত উন্নতি করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন উদ্যোক্তারা।