‘করোনা প্রতিরোধে জরুরি কাশি শিষ্টাচার ও হাত ধোয়ার চর্চা’
৫ মার্চ ২০২০ ২১:৪২
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পাওয়া না গেলেও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দুইটি আচরণগত চর্চায় গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দরকার সচেতন হওয়া। আমরা সচেতনতা বাড়ানোর জন্যও কাজ করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুইটি আচরণগত চর্চা জরুরি— কাশি শিষ্টাচার ও সাবান পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর আইইডিসিআর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, মোংলা বন্দরে একটি জাহাজের তিন জন যাত্রীর মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে তাদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে জাহাজটি গভীর সমুদ্রে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে তথ্য জানানো হবে।
ডা. ফ্লোরা বলেন, ২১ জানুয়ারি থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়। প্রথমে চীন থেকে আসা ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব বন্দরেই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়। এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখের বেশি যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
চীনের পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. ফ্লোরা বলেন, কোভিড-১৯ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত দেশের সংখ্যা চীনসহ ৭৭টি। তবে চীনের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। চীনের বাইরে প্রতিদিন নতুন দেশ ও রোগী শনাক্ত হচ্ছে। নতুন করে গতকাল আরও পাঁচটি দেশ যোগ হয়েছে। এখন পর্যন্ত হটস্পট হিসেবে চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি ও জাপানে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চীনের বাইরে সর্বোচ্চ রোগী পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
ইতালিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশির পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলেও জানানো হয় সম্মেলনে। এসময় জানানো হয়, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে তিন জন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। একজন এখনো আইসিইউতে রয়েছেন, আরেকজনের অবস্থা স্থিতিশীল। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে একজন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান আইইডিসিআর পরিচালক। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও নমুনাতেই কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
আইইডিসিআর আচরণগত পরিবর্তন করোনাভাইরাস কাশি শিষ্টাচার কোভিড-১৯ হাত ধোয়া