চবিতে সংঘর্ষের পর বৈঠক, সমঝোতায় ছাত্রলীগ
৬ মার্চ ২০২০ ০১:০৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর বিবাদমান গ্রুপগুলোকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠকে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সংঘর্ষে জড়াবে না প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে এ বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। তারা আর সংঘর্ষে জড়াবে না। তাদেরকে যে যার হলে ওঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসবের ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এগুলো খতিয়ে দেখছে। বৈঠকের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে আর সংঘর্ষ হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে যার মতো হলে উঠে যাবে। সংঘর্ষ আর হবে না। যারা সংঘর্ষে জড়াবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার (২ মার্চ) রাতে আলাওল হলের ২৩৪ নম্বর রুমে হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগি ভিত্তিক সংগঠন ‘বিজয়’ ও ‘কনকর্ড’ গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। পরে মঙ্গলবার (৩মার্চ) রাতে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজয় গ্রুপের এককর্মী বোরহান আবির হাসান নামের এক কর্মীকে মারধর করে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা ।
পরে বুধবার (৪মার্চ) বিকেলে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহ জালাল হলে ও বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও এক বহিরাগতসহ অন্তত চারজনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই ঘটনার জেরে বুধবার (৪মার্চ) গভীর রাতে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা স্যার এ এফ রহমান হলে থাকা বিজয় গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ পাশাপাশি হলের দরজা জানালা ভাঙচুর করা হয়। এসময় সন্দেজনকভাবে অন্তত ৫৭ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ৫০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের হাটহাজারি থানায় পাঠানো হয়।
সিক্সটি নাইন ও কনকর্ড গ্রুপ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিজয় গ্রুপ সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।