মুজিববর্ষের স্মারক মুদ্রা-নোটের যেসব বৈশিষ্ট্য
৬ মার্চ ২০২০ ০১:৩৮
ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুইটি স্মারক মুদ্রা ও দুইটি ব্যাংক নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্মারক মুদ্রা দু’টির মূল্যমান ১০০ টাকা করে। অন্যদিকে, দুইটি ব্যাংক নোটের একটি ১০০ টাকা মূল্যমানের এবং অন্যটি ২০০ টাকা মূল্যমানের, যা দেশের প্রথম প্রচলনযোগ্য ২০০ টাকা মূল্যমানের নোট।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এসব নোটের প্রত্যেকটিরই রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
২০০ টাকা মূল্যমান স্মারক ব্যাংক নোটের বৈশিষ্ট্য
শতভাগ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং ইউভি কিউরিং ভার্নিশযুক্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ২০০ টাকা মূল্যমান স্মারক ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে নোটের মূল্যমান ‘৳২০০’ ও ‘২০০’ ডিজাইন হিসেবে মুদ্রিত রয়েছে।
এছাড়া, নোটের উপরের অংশে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’, উপরে ডানদিকে কোনায় ইংরেজিতে মূল্যমান ‘২০০’ও ডানদিকে নিচে কোনায় বাংলায় মূল্যমান ‘৳২০০’ লেখা রয়েছে।নোটের পেছনভাগে ডানদিকে গ্রামবাংলার বহমান নদী ও নদীর পাড়ের দৃশ্য (নদীর বুকে নৌকা, পাড়ে পাটক্ষেত ও নৌকায় পাট বোঝাইয়ের দৃশ্য)।
বামপাশে বঙ্গবন্ধুর যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের একটি ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরিভাগে ইংরেজিতে ‘Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Centenary 1920-2020’ এবং নিচে বামদিকে কোনায় ‘Birth Centenary’ লেখা রয়েছে।
নোটের উপরে বামকোণে বাংলায় মূল্যমান ‘২০০’ ও ডানকোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’এবং নিচে ডানদিকে কোণে ইংরেজিতে মূল্যমান ‘৳২০০’ লেখা রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ খচিত রয়েছে এবং নোটটি নড়াচড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়।
এছাড়া, নোটের ডানদিকে কোনায় ইংরেজিতে মুদ্রিত ‘২০০’ মূল্যমানটি উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত; যাতে নোটটি নড়াচড়া করলে রং সোনালী থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং একটি উজ্জ্বল বার উপর থেকে নিচে ওঠানামা করে। ২০০ টাকা মূল্যমান স্মারক ব্যাংক নোটটি অন্যান্য ব্যাংক নোটের মতো দৈনন্দিন লেনদেনে ব্যবহৃত হবে।
১০০ টাকা মূল্যমান স্মারক নোটের বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত এ স্মারক নোটের সম্মুখভাগের বামপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং নোটের ব্যাকগ্রাউন্ডে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষর ডিজাইন হিসেবে মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরের অংশে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০ এবং নিচের অংশে ‘মুজিব বর্ষ’ লেখা রয়েছে।
নোটের ডানপাশে উপরে স্মারক নোটের মূল্যমান ইংরেজিতে ‘১০০’ এবং নিচে মূল্যমান বাংলায় ‘৳১০০’ লেখা রয়েছে। এছাড়া, নোটের বামপাশে উলম্বভাবে মূল্যমান ইংরেজিতে ‘৳১০০’ মুদ্রিত রয়েছে।
নোটের পেছনভাগে সুন্দরবনের দৃশ্য (গোলপাতা ও সুন্দরীগাছ সমৃদ্ধ বনের ভেতর রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং বনের পাশে পাল তোলা নৌকাসহ নদীর দৃশ্য) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরিভাগে ‘Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Centenary 1920-2020’, নিচে ‘ONE HUNDRED TAKA’ এবং ‘BANGLADESH BANK’ লেখা রয়েছে।
এছাড়া, নোটের উপরে ডানপাশে ইংরেজিতে স্মারক নোটের মূল্যমান ‘১০০’ এবং নিচে বামপাশে মূল্যমান বাংলায় ‘৳১০০’ এবং ডানপাশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ মুদ্রিত রয়েছে। ১০০ টাকা মূল্যমান স্মারক নোটটিতে জলছাপ হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, ‘১০০’এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে।
১৮ মার্চ আসছে মুজিববর্ষের স্মারক মুদ্রা, ২০০ টাকার নোট
এছাড়াও ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ খচিত রয়েছে এবং নোটটি নড়াচড়া করলে নিরাপত্তা সুতার রং সবুজ হতে নীল রংয়ে পরিবর্তিত হয় এবং ভেতরের বৃত্তাকার ডিজাইনটি ছোট থেকে বড় এবং বড় থেকে ছোট হয়/আকার পরিবর্তন করে।
১০০ টাকা মূল্যমান স্বর্ণ ও রৌপ্য স্মারক মুদ্রার বৈশিষ্ট্য
১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৫ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট ও ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত স্বর্ণ স্মারক মুদ্রাটির ওজন ১০ গ্রাম এবং ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৩৮ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট ও ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা নির্মিত রৌপ্য স্মারক মুদ্রাটির ওজন ৩০ গ্রাম।
স্বর্ণ ও রৌপ্য উভয় স্মারক মুদ্রার সম্মুখভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতি, প্রতিকৃতির নিচে মূল্যমান ‘$১০০’ এবং অর্ধবৃত্তাকারভাবে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’এবং পেছনভাগে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম, এর নিচে মূল্যমান ‘১০০’ এবং অর্ধবৃত্তাকারভাবে দুই লাইনে’ ‘Centenary 1920-2020’ ও ‘Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’ মুদ্রিত রয়েছে।
স্বর্ণ স্মারক মুদ্রাটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে স্মারক বাক্সসহ ৫৩ হাজার টাকা এবং রৌপ্য স্মারক মুদ্রাটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে স্মারক বাক্সসহ ৩৫ হাজার টাকা।