নিরাপত্তা নেই শেকৃবি’র গবেষণা মাঠে
৬ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৮
শেকৃবি: রাজধানীর কৃষি গবেষণা ও গবেষক তৈরির অনন্য এক প্রতিষ্ঠান শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ধুলোবালির শহরের ৮৭ একরের এই ছোট্ট সবুজ জায়গাই আধুনিক কৃষিতে আনছে নানা সম্ভাবনা। কিন্তু খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠেই নিরাপত্তার অভাবে নষ্ট হচ্ছে গবেষণার ফসল। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ছাত্রছাত্রী গবেষণার সুযোগ পান। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় তাদের গবেষণা চালিয়ে থাকেন। অথচ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণা মাঠে বহিরাগতদের চলাফেরার সুযোগ থাকায় গবেষণা কার্যক্রমে নানা সমস্যা হয়। এমনকি ফসলের ক্ষতি ও চুরির ঘটনাও ঘটে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাপসিকাম ও কালোজিরা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া ৭৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মামুন হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যারা থিসিসের জন্য কাজ করি তারা অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজগুলো করে থাকি। এখানে থেকে আমরা বুঝি একজন কৃষকের মুখে কখন হাসি ফোটে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি নিজের প্লটের এমন অবস্থা দেখি তখন আমরা আমাদের কাজের স্পৃহাটা হারিয়ে ফেলি। এজন্য প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।’
গত কয়েকদিনে গবেষণা মাঠে প্যাথোলজি বিভাগের মো. মাহমুদুল হাসান তানুর প্লট থেকে পেঁয়াজ, উদ্যানতত্ত্ব বিচাগের মো. ইসমাইল হোসেনের স্ট্রবেরি ও কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের আবু নোমান সায়েমের টমাটো নষ্ট হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
গবেষণা মাঠে ফসল নষ্টের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দায়বদ্ধ।’ নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য খামার বিভাগকে শিগগিরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৃষি গবেষণা খামার বিভাগ থেকে কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের দায়িত্বরত প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো. আল সামসুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বিকেলের পর সংশ্লিষ্টরা ছাড়া সবার মাঠে প্রবেশ নিষেধ করেছি। আশা করছি ভবিষ্যতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর ঘটবে না।’