Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টানা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বসেরা এনজিও ব্র্যাক


৬ মার্চ ২০২০ ১৬:৫৭

জেনেভাভিত্তিক গণমাধ্যম সংস্থা ‘এনজিও অ্যাডভাইজারে’র র‌্যাংকিংয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বসেরা এনজিও’র স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাক। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, পরিচালন কাঠামো ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে অব্যাহত অঙ্গীকারের কারণেই সংস্থাটি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

এনজিও অ্যাডভাইজার সম্প্রতি ২০২০ সালের জন্য শীর্ষ পাঁচশ এনজিও’র তালিকাটি প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ব্র্যাকের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এনজিও অ্যাডভাইজার প্রতিবছর বিশ্বের ৫০০ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এই তালিকা তৈরি করে। এই র‌্যাংকিংয়ে বিবেচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্য-উপাত্ত, কার্যক্রমের প্রভাব ও নতুনত্ব, পরিচালন কাঠামো এবং স্থায়িত্ব। অর্থাৎ যেসব সংগঠনের উদ্ভাবনী কর্মসূচি বা উদ্যোগ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই ও সুদূরপ্রাসারী প্রভাব রেখেছে, তাদেরকেই এই র‌্যাংকিংয়ে বিবেচনা করা হয়। এ বছর শীর্ষ পাঁচে স্থান পাওয়া অন্য এনজিওগুলো হচ্ছে মেডিসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস (ডক্টর উইদাউট বর্ডারস), ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনস ও মার্সি কোর।

এনজিও অ্যাডভাইজরের এই স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় ব্র্যাক গ্লোবাল বোর্ডের চেয়ারপারসন আমিরা হক বলেন, ‘এই সম্মান পেয়ে আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ২০২০ সাল প্রথম বছর যখন আমাদের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আমাদের মাঝে নেই। তার উত্তরাধিকারের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে এবং সব ধরনের শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে— এই দৃঢ় অঙ্গীকারের স্মারক হিসেবে আমরা এই স্বীকৃতিকে গ্রহণ করছি।’

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে প্রায় পাঁচ দশকের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি ব্র্যাক ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর্মকৌশল ঘোষণা করেছে। এই কর্মকৌশলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কার্যক্রমের বিস্তার, সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান এবং উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা ও জ্ঞান-অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্বের শক্তিশালী করার ওপর। এই কর্মকৌশল পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য ২০১৯ সালেই ব্র্যাকের গ্লোবাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

আমিরা হক বলেন, ‘ব্র্যাকের বৈশ্বিক কর্মকৌশলে স্যার ফজলে আমাদের জন্য দুঃসাহসী লক্ষ্য স্থির করে দিয়ে গেছেন, তা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ২৫ কোটি মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটানো, যেন তারা নিজেদের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা প্রতিদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’

এনজিও অ্যাডভাইজারের প্রধান সম্পাদক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জন-ক্রিস্টফ নথিয়াস বলেন, ‘এ বছর বিশ্বের এনজিও র‌্যাংকিংয়ে ব্র্যাকের প্রথম স্থান ধরে রাখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মূল ভূমিকা পালন করেছে তা হলো— উদ্ভাবন ও ফলাফল বা প্রভাব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্ব্যক্ত অঙ্গীকার এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব ও পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণের ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত পূর্বপ্রস্তুতি।’

ক্রিস্টফ নথিয়াস লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের এই তালিকা প্রকাশের সময় আমরা এ কারণে উৎফুল্ল যে সামাজিক মুনাফার ক্ষেত্রগুলো বিশ্বের রূপান্তর ও বিকাশে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি যে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে ২০১৯ সালেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন মর্যাদা ও মানবিকতায় অনন্য একজন ব্যক্তি। যে পদ্ধতিগত পরিবর্তন আমাদের আরাধ্য, তিনি ছিলেন সেই প্রচেষ্টার পুরোভাগে। আমরা বিশ্বাস করি ব্র্যাক তার প্রতিষ্ঠাতার প্রতি ভালবাসা ও সমর্থন অক্ষুণ্ন রেখে সামাজিক মুনাফা খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে।

এনজিও অ্যাডভাইজার বিশ্বসেরা এনজিও ব্র্যাক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর