১৯ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো ৭ই মার্চের ভাষণ
৭ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৯
ঢাকা: খুলনায় ১৯ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
বর্ণাঢ্য আয়োজন, বিপুল উপস্থিতি ও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে শনিবার (৭ মার্চ) বিভাগীয় শহর খুলনায় ১২৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশু বঙ্গবন্ধু ফোরামের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ। এরপরই ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ।
তারপর খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সোনার বাংলা গড়ার শপথ পাঠ করান আগত শিক্ষার্থীদের।
এ সময় ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) উপস্থিত থাকা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর আট ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর খুলনা আঞ্চলিক প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকু এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীরসহ সরকারি- বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।