ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪, আটক ৫
৭ মার্চ ২০২০ ২১:২২
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সংগঠনের চার কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় আহত একজনের কাছ থেকে একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। ছাত্রলীগের এক নেতা বলছেন, সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এই সংঘর্ষ। আর পুলিশ বলছে, একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ঘটেছে।
শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আশিক গ্রুপ ও পারভেজ গ্রুপের ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে আহত চার জনের মধ্যে দু’জনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি দু’জন পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে জেলা কমিটিবিহীন ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে নতুন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক পদ নিয়ে আশিক গ্রুপ ও পারভেজ গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়েই তাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটেছে।
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আশিক জানান, তার সমর্থিত ইব্রাহীম, হাসানুজ্জামান নিশান ও সাকিবসহ কয়েকজন ছাত্র শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় পারভেজ গ্রুপ সমর্থিত ফরহাদের সঙ্গে সিগারেট খাওয়া নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছুরিকাঘাত করে হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে পারভেজ গ্রুপের সমর্থকরা জানান, আনোয়ার সুমন, দেলোয়ার, আশিক ও আদনান এই হামলার জন্য দায়ী। তাদের হামলায় আশিক গ্রুপের সজীব ও ফরহাদ আহত হন। এসময় মারধর ঠেকাতে গেলে আহত হন উজ্জ্বলও।
উজ্জ্বলের অভিযোগ, মারধরের শিকার হয়ে তারা চিকিৎসা নিতে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে সেখানে আরও এক দফা তাদের পর হামলা করেন আশিক গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এ অভিযোগ বিষয়ে আশিক গ্রুপের বক্তব্য, এই গ্রুপের কর্মীরা পারভেজকে গালাগাল করেছে— এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে এই হামলা করা হয়েছে।
সংঘর্ষ নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে আবার পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া ওই মেয়েটিকেও থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।