শিশু সামিয়ার হত্যা: আসামি হারুনের মৃত্যুদণ্ড চায় পরিবার
৮ মার্চ ২০২০ ১৯:১২
ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগামীকাল সোমবার (৯ মার্চ) রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুানাল।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদ।
এরআগে গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামি হারুন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
এদিকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে শিশু সামিয়ার পরিবার। সামিয়ার বাবা আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের জানান, আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। আসামির এমন সাজা হোক পরবর্তীতে যেন কোনো শিশুর সঙ্গে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়। সায়মার মা সানজিদা আক্তার জানান, আমার নিষ্পাপ মেয়েকে যে হত্যা করেছে তার মৃত্যুদণ্ড চায়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল বারী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি তার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) একই ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
২০১৯ সালের ৫ জুলাই ধর্ষণের পর সামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। সামিয়ার বাবা আব্দুস সালাম পরদিন ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৮ জুলাই হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
গত ৩০ অক্টোবর আসামি মো. হারুন অর রশিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিমের মো. আরজুন।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, মামলার প্রথামিক তদন্তে সামিয়াকে আসামি হারুন অর রশিদ ধর্ষণ ও হত্যা করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে—এমন তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি।