জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদত্যাগ, সংকটে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সরকার
১০ মার্চ ২০২০ ১৩:২৮
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির প্রভাবশালী সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে দলের সাধারন সদস্য পদসহ সব ধরণের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও সিন্ধিয়ার পদত্যাগ গ্রহণ না করে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে দল থেকে বহিঃষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস।
ধারণা করা হচ্ছে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কারণ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে প্রধানমন্দ্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিন্ধিয়া।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের অন্যতম সাধারন সম্পাদক ছিলেন। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত সিন্ধিয়া মধ্যপ্রদেশে বেশ প্রভাবশালী। সিন্ধিয়ার প্রয়াত বাবা মাধরবাও সিন্ধিয়াও কংগ্রেসের মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। মাধরবাও সিন্ধিয়া রাজীব গান্ধী ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদত্যাগের ফলে গভীর সংকটের মুখে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। কারণ সিন্ধিয়া একাই দলত্যাগ করছেন না। ধারণা করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রায় ১৭ বিধায়ক সিন্ধিয়ার সাথে দলত্যাগ করতে যাচ্ছেন। কারণ ৯ মার্চ থেকে দলটির অন্তত ১৭ বিধায়কের খোঁজ মিলছে না। তাদের মধ্যে ৬ জন আবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী। এই ১৭ বিধায়ক এবং মন্ত্রী সিন্ধিয়া ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত।
২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধান সভার সংখ্যাগরিষ্টতা ধরে রাখতে ১১৬ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ১২০ জন বিধায়ক নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে ৪ জন বেশি।
অন্যদিকে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৭। এমন জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক যদি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে দলত্যাগ করে তাহলে কমল নাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার অস্তিত্ব সংকটে পরবে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর এবার মধ্যপ্রদেশের ১৪ কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। ফলে সত্যিকার অর্থেই খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার।