কোভিড-১৯: বাংলাদেশে কোয়ারান্টাইনে ৪, আইসোলেশনে ৮ জন
১০ মার্চ ২০২০ ১৪:৫৮
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, এই মুহূর্তে চার জনকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। আর পর্যবেক্ষণের জন্য আটজনকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়া তিনজন বাংলাদেশির অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে আইইডিসিআর সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডা. ফ্লোরা।
তিনি বলেন, আমরা বিদেশফেরত ৮ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছি। ৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। এর বাইরে, বিদেশ থেকে যারা আসছেন, তাদের অনেককে আমরা সেলফ-কোয়ারান্টাইনে (স্বেচ্ছায়) থাকতে বলছি, তাদের অনেকে তা মানছেনও। স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে যারা আছেন, তাদের আইইডিসিআরের হিসাবে ধরা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আরও সাত জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাইনি। সবমিলিয়ে আমরা ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। ৮ মার্চ শনাক্ত হওয়া তিন জন বাদে এখন পর্যন্ত আর কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায় নি।
অসুস্থ ৩ জনকে ছাড়পত্র কবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে তাদের যে পরীক্ষা করা হয়েছে সেটা পর পর দুইবার নেগেটিভ না আসলে তাদের ছেড়ে দেওয়ার কোনো অনুমতি নেই।
ফ্লোরা বলেন, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে ১৪ দিন সেলফ কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করুন। সব মিলিয়ে আমাদের ১২টি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনে ফোন করুন, পরামর্শ পাবেন। এছাড়াও আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নাম্বারেও ফোন করা যাবে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন রোগের উপসর্গ দেখা দিলে আইইডিসিআরের হটলাইন ফোন দিতে অনুরোধ করেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হটলাইন চালুর পর আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭৭৮টি কল এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত। আবার এমনও কল এসেছে যে মাস্ক কোথায় পাওয়া যাবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, বিদেশ থেকে এসেছে, কী করণীয় ইত্যাদি জানতে।
দেশে করোনা জীবাণু ছড়ানো বন্ধ করতে হোম কোয়ারান্টাইনের বিকল্প নেই। বিদেশ থেকে কেউ এলে খুব দরকার না হলে বাইরে বের হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনো নেই। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। অসুস্থ হলে বাসায় থাকা উচিত। অসুস্থ অবস্থায় বাইরে যেতে হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত মেলানো, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি বা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মেলামেশা আপাতত পরিহার করুন।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা আইইডিসিআর করোনাভাইরাস কোভিড-১৯