মুজিববর্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন ড. ইউনুছ আলী
১১ মার্চ ২০২০ ০০:৫৮
ঢাকা: জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে মানবিক কারণ দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে রষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আবেদন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি থেকে নমিনেশন পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
আবেদনে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও সংবিধানের ১১, ৪৮ (৩), ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, সারাবিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর কারণে বিভিন্ন দেশের বন্দিদের মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও করোনায় আক্রান্ত। এ অবস্থায় খালেদা জিয়াসহ সব অসুস্থ, বৃদ্ধা জ্যেষ্ঠ মহিলা নাগরিকদের সংবিধান অনুযায়ী দণ্ড মওকুফের জন্য জনস্বার্থে আরজি জানাচ্ছি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, যুদ্ধে সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে বীর উত্তম খেতাবও পেয়েছেন। আজ যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সাহসী বীর উত্তম খেতাবধারীর স্ত্রীকে এভাবে জেলে রেখে শতবর্ষ পালন করতেন না, কারাদণ্ড হলেও মুক্তি দিয়ে শতবর্ষ হতো। মুজিব শতবর্ষ ১৬ কোটি মানুষ স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত ক্ষমাশীল ছিলেন। ক্ষমা স্বর্গীয় জিনিস। ক্ষমা মানুষকে সম্মান দেয় এবং জনসমর্থন বাড়ে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়া সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। মহিলা, বয়স্ক ও অসুস্থদের মুক্তি পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার বলেও উল্লেখ করেন ড. ইউনুছ।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর আবেদনে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ। তাই জনস্বার্থে যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কারও জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন। তাই খালেদা জিয়াকে যেকোনো শর্তে সব ধরনের দণ্ডের মার্জনা, বিরাম মঞ্জুর এবং দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার আর্জি জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী