Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৫ দিনের রিমান্ডে পাপিয়া


১১ মার্চ ২০২০ ১৩:৪৪

ঢাকা: বহিস্কৃত যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর ১৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ মার্চ) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৫ দিন এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বিমানবন্দর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তাইবা নূরের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পাপিয়া ও তার স্বামীকে দেশীয় ও বিদেশী মুদ্রার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। পাপিয়া-সুমন দম্পতি সাব্বির ও তাইবার সহযোগিতায় ও পরস্পরের যোগসাজশে জাল মুদ্রা বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বহন ও বিপুল পরিমাণ সংঘবদ্ধ অপরাধলব্ধ অর্থ পাচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে অপরাধ করেছে মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই, প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।

এদিকে, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তাইবা নূরকে বুধবার (১১ মার্চ) আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য আদালত তাদের রিমান্ড শুনানির জন্য রোববার (১৫ মার্চ) দিন ধার্য করেন।

এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়।
অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের রিমান্ড আবেদন করেন র‌্যাব-১ এর উপ পরিদর্শক(এসআই) আরিফুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

আবেদনে বলা হয় – আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী জেলায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গঠন করে সাধারণ জনগনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, অর্থের বিনিময়ে জমির দখল-বেদখল, অনৈতিক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কাজ করে আসছিল। আসামিরা কিভাবে বিদেশী পিস্তল ও গুলি সংগ্রহ করেছে, বিদেশী পিস্তল কিভাবে ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে, পিস্তল কোথায় কি ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়, পিস্তল দিয়ে গুলি ফায়ার করা হয়েছিল কি না, কতদিন পূর্বে ফায়ার করা বা ব্যবহার করা হয়েছিল ইত্যাদি তথ্য জানার জন্য, বিদেশী পিস্তল চোরাচালানের রুট এবং এই সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্রের সদস্যদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারসহ মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য এ দুই আসামির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় র‌্যাব-১ এর উপ পরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম আসামিদের বাসা থেকে যে বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়েছে সেই মদ কিভাবে বিদেশ থেকে আনে, কার কাছে বিক্রি করে, চোরাচালানের রুট এবং এই সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্রের সদস্যদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন।

তবে, আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রিমান্ড শামীমা নূর পাপিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর