Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৫০০ তালেবানকে মুক্তি দেবে আফগানিস্তান


১১ মার্চ ২০২০ ১৪:০৮

কয়েক দফা পেছানোর পর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ১৫০০ তালেবান বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতা আলোচনা শুরু করার লক্ষ্যে শুভেচ্ছার নিদর্শনে হিসেবে এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি ইস্যু করেছেন তিনি।  সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে হওয়া শান্তি চুক্তিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে থাকা তাদের ৫০০০ সদস্যের মুক্তির দাবি জানায় চরমপন্থি এ গ্রুপ।  তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, বহুল প্রত্যাশিত ইন্ট্রা-আফগান সমঝোতা শুরু করার পূর্বশর্ত হলো দলের সদস্যদের মুক্তি।  খবর এপি।

আফগান সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর এখনও তালেবানের তরফে আনুষ্ঠানিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

এপির হাতে আসা তালেবান প্রিজনার্স কমিশন প্রধান নুরুদ্দিন তুরাবির এক চিঠিতে দেখা গেছে, তালেবান নেতারা দলের সকল কারাবন্দী সদস্য ও তাদের পরিবারগুলোর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বন্দিদের মুক্তির আগে আলোচনায় বসবে না তারা। পশতু ভাষায় লেখা ওই চিঠিটি পাঠানো হয় গত সপ্তাহান্তে।  এতে আরও বলা হয়, তালেবান যাচাই করে দেখবে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে দেয়া তালিকাভুক্ত বন্দি সদস্য কিনা।

এদিকে, প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রিতে বলা হয়েছে, প্রথম দফায় মুক্তি পেতে যাওয়া ১৫০০ বন্দিতে বেছে নেয়া হবে তাদের বয়স, স্বাস্থ্য ও কারাভোগের সময়কাল। মুক্ত হওয়া বন্দিদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্ত করা হবে। এছাড়া, তাদের লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে তারা যুদ্ধের মাঠে ফিরবে না।

বাকি ৩৫০০ বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে ইন্ট্রা-আফগান সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর।  আর তালেবান তাদের লড়াই কমিয়ে আনার ওপর নির্ভর করে দুই সপ্তাহ অন্তর ৫০০ জন করে মুক্তি দেয়া হবে।

তবে, তালেবান যদি সমঝোতা শুরু করতে রাজিও হয়, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা এবং ঘানি ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ’র মধ্যে অবিরাম কাদা ছোড়াছুড়ির ফলে সমঝোতার জন্য আলোচক দল প্রস্তুত করতে পারেনি কাবুল।

ঘানির পর আব্দুল্লাহও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্টের শপথ নেয়ায় কাবুল এখন দ্বিধাবিভক্ত।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির পর ঘানি বন্দিদের মুক্তির পথ সুগম করার ডিক্রি জারি করেন।  বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতার মাত্রা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।  আর শান্তি চুক্তির পর আফগান শহরগুলোতে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ করলেও দেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে সহিংসতার মাত্রা এখনও অনেক বেশি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনী সঙ্কট জাতীয় সমঝোতা দল গঠন ও ইন্ট্রা-আফগান আলোচনার গোড়াপত্তন বিলম্বিত করেছে।

মঙ্গলবার নরওয়ের অসলোতে শুরু হওয়ার কথা ছিল ওই সমঝোতা আলোচনা।

আফগানিস্তান আশরাফ ঘানি তালেবান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর