রাজীবের হাত কাটা মামলায় নারাজি দাখিল
১১ মার্চ ২০২০ ১৬:৪৯
ঢাকা: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের ডান হাত কাটা পড়ার মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ভিকটিমের মামা জাহেদুল ইসলাম এ নারাজির আবেদন জমা দেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস সারাবাংলাকে জানান, আজকে প্রাথমিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃত বাদীর পরিবর্তে তার মামা জাহেদুল ইসলাম দায়ের করা নারাজি শুনানি হবে কি না সেই বিষয়ে আদালত তারিখ নির্ধারণ করবেন। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি বিচারক।
তিনি আরও বলেন, চার্জশিটে ত্রুটি, তদন্তে ত্রুটি, অনিয়ম এবং পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। একারণে রাজীবের পরিবার নারাজি দিয়েছে।
২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন বাসের চালক খোরশেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইদ্রিস আলী। আসামিদের বিরুদ্ধে ২৭৯/৩০৪(খ) ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এই মামলার অভিযুক্তরা হলেন— রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ (৩৫) ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক খোরশেদ (৫০)। মামলাটিতে দুই বাস চালক জামিনে আছেন।
যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগের একটি মেসে থাকতেন তিতুমীর কলেজের স্নাতক (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীব। কলেজের কাছেই একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। গত বছরের ৩ এপ্রিল বাসা থেকে বেরিয়ে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে করে ওই প্রতিষ্ঠানেই যাচ্ছিলেন। বাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন পেছনের গেটে, তার ডান হাতটি গেটের কিছুটা বাইরে বেরিয়েছিল।
বিআরটিসি বাসটি কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং দুই বাসের মাঝখানে ঝুলে থাকে।
পরে রাজীবকে দ্রুত পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়।