হালকা শিল্পপার্ক স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হবে: শিল্প প্রতিমন্ত্রী
১১ মার্চ ২০২০ ২০:৪১
ঢাকা: দেশীয় উদ্যোক্তাদের দাবি অনুযায়ী হালকা প্রকৌশল শিল্পপার্ক স্থাপন বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব হালকা প্রকৌশল শিল্পপার্ক স্থাপন এ খাতের উদ্যোক্তাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘হালকা প্রকৌশল বর্ষপণ্য ২০২০: জাতীয় উন্নয়নে সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
নয় দিনের চলমান ৮ম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশন। ৪ মার্চ শুরু হওয়া এই মেলা ১২ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ৭ মার্চ মেলা বন্ধ থাকায় তা চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান, চীন, কোরিয়া, তাইওয়ানসহ এশিয়ার অনেক উন্নত দেশেই হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারও এই শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। খাতটির উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব করা হবে।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, হালকা প্রকৌশল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা বাড়ানো এবং গবেষণার ফলাফল ছোট কারখানা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া ও শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে মনযোগী হতে হবে। তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে খাতটি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপকালে বিটাক পরিচালক ড. সৈয়দ মো. ইহসানুল করিম জানান, বিশ্বের প্রায় ৭ লাখ কোটি ডলারের হালকা প্রকৌশল শিল্পের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি করে মাত্র ৫১ কোটি ডলার। হালকা প্রকৌশল পণ্যের রফতানির ওপর শতকরা ১০ ভাগ নগদ সহায়তা এবং কৃষি যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ২৫ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে এই খাতের উন্নয়নের চেষ্টা করছে সরকার। হালকা প্রকৌশল খাতের ৪০ হাজার উদ্যোক্তা এবং ৮ লাখ শ্রমিকের কল্যাণসহ এই খাতের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে চলতি বছরকে হালকা প্রকৌশল বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।
এর আগে, সকালে একই স্থানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থায়ন নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের প্রধান অতিথি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত বা হয়রানি গ্রহণযোগ্য নয়। বরং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। সেই সঙ্গে ঋণ আদায় করার দায়িত্বও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে নজরদারি করার পরামর্শও দেন তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্য রাশেদুল করীম মুন্না। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভলপমেন্ট ফান্ড-ইউএনসিডিএফ-এর ডিজিটাল বিষয়ক পরামর্শক মো. আশরাফুল আলম বলেন, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।