১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ
১২ মার্চ ২০২০ ১৯:১০
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): ভৈরবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে বিক্রির জন্য (ওএমএস) ১০ টাকা দরের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ মিলেছে, উপজেলার গজারিয়া গ্রামের এক ডিলার জনপ্রতি বরাদ্দের তুলনায় ৫ কেজি করে চাল কম দিয়েছেন ক্রেতাদের।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তবে অভিযুক্ত ডিলার ইমরানের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, ওএমএসের আওতায় একেকজন হতদরিদ্রকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। তবে গজারিয়া ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের ডিলার ইমরান এই চাল বিতরণে জনপ্রতি ৫ কেজি করে কম দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ওই ডিলারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শরীফ মোল্লা জানিয়েছেন, শিগগিরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীফ মোল্লা জানান, গত ৫ নভেম্বর থেকে ভৈরবের সাতটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ ৫ হাজার ১১৪ জন হতদরিদ্রের তালিকা করে ১০ টাকা কেজি দরের (ওএমএসের) আওতায় আনা হয়। এই চাল বিতরণের জন্য সাতটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৪ জন ডিলার। প্রতি সপ্তাহের সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার করে চাল বিক্রি করার কথা ছিল তার। প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা মার্চ ও এপ্রিল মাসজুড়ে।
শরীফ মোল্লা আরও বলেন, কোনো ডিলার চাল বিতরণে অনিয়ম বা কারচুপি করলে কিংবা ওজনে কম দিলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল থেকে শুরু করে কারাদণ্ড ও জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। গজারিয়ার ওই ডিলারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ওএমএস ওএমএসের চাল খোলাবাজারে বিক্রি গজারিয়া উপজেলা চাল বিতরণে অনিয়ম