‘এজেন্টদের কমিশন দিয়ে নেওয়া হয় গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর’
১৩ মার্চ ২০২০ ১৭:১৭
ঢাকা: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতো প্রতারক চক্র। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহককে ফোন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি।
রাজধানীর মিরপুর থেকে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড, মাল্টিসিম গেটওয়ে ডিভাইসসহ মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াত চক্রের এক হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মিরপুর-১ এর ১৯ নাম্বার রোডের ৩৩ নাম্বার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. সোহেল আহমেদকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি মাল্টিসিম গেটওয়ে, একটি সিগন্যাল বুস্টার, তিনটি মডেম, বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জামা উদ্ধার করা হয়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ প্রতারণার কাজে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তবে কি পরিমাণ টাকা তিনি আয় করেছেন, তা জানাতে পারেননি র্যাবের এ কর্মকর্তা। তিনি জানান, আসামি সোহেল মাদকাসক্ত। সে যা আয় করে তা মাদকের পেছনেই ব্যয় করে ফেলেছে বলে আমরা ধারণা করছি। সোহেল তার চক্রের আরও ৪/৫ জনের নাম আমাদের বলেছে। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাবে না। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।
কিভাবে তারা প্রতারণা করতো এমন প্রশ্নে তিনি জানান, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অংকের টাকা লেনদেন করতো, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টরা তাদের জানিয়ে দিতো। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে সেন্ডার বা রিসিভার করে কল দিয়ে কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতেন, অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে নিতে পারতো।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাব -৩ এর অধিনায়ক।
এজেন্ট কমিশন টপ নিউজ প্রতারক চক্র মোবাইল নম্বর মোবাইল ব্যাংকিং