Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেজাউলকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আহত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ছেলে


১৪ মার্চ ২০২০ ২১:৫০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর আসার খবরে জড়ো হওয়া দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রেজাউল সেখানে গণসংযোগ না করে অন্য এলাকায় চলে যান।

শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় ৩৮ নম্বর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রার্থী দুজন হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী এবং বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসান মুরাদ।

বিজ্ঞাপন

মারামারিতে গুরুতর আহত হাসান মুরাদ এবং তার ছেলে মো. সামিরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর গণসংযোগ করার কথা ছিল দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে। তাকে স্বাগত জানাতে সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে অপেক্ষায় ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, বন্দর থানা কমিটির সভাপতি নুরুল আলমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রথমে হাসান মুরাদ মিছিল নিয়ে সেখানে যান। এরপর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল আসে। প্রথমেই আগে থেকে অবস্থান করা হাসান মুরাদের ওপর হামলা হয়। এরপর দু’পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে রেজাউল করিম চৌধুরী সেখানে পৌঁছেন। তবে তিনি ঘটনাস্থলে না দাঁড়িয়ে ৩৭ নম্বর উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে চলে যান।

খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাউন্সিলর প্রার্থীদের দুই গ্রুপে মারামারি করেছে। সেজন্য আমরা আর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করিনি। আমাদের মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে চলে এসেছি।’

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্য অনেক মানুষ রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। আমরা সুশৃঙ্খলভাবে তাদের রাস্তার একপাশে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছিলাম। তখন একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর আরেক প্রার্থীর মিছিল থেকে হামলা হয়। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসান মুরাদকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে এবং তার ছেলে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী ও হাসান মুরাদের মোবাইলে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

আহত কাউন্সিলর চট্টগ্রাম বাবা-ছেলে মারামারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর