পুলিশের বিরুদ্ধে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৩৮
পুলিশের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসানকে (৪০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ৯১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহিদ হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা যায় বলে পুলিশ দাবী করেছে।
আরও পড়ুন: আরিফুল প্রতিহিংসার শিকার: ফখরুল
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জয়রামপুর গ্রামের কাশেম (৪০) ও আসাদুল (৩৪) জানান, জাহিদ শনিবার দুপুরে দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই সময় সংসদ সদস্য ছেলুন চিকিৎসা শেষে ভারত থেকে ফিরছিলেন। সেখান থেকে সে গ্রামে এসে বাড়িতে রাজমিস্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করাচ্ছিলো। এ সময় দামুড়হুদা মডেল থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক রাম প্রসাদের নেতৃত্বে ৩জন পুলিশ সদস্য তার কাছে ফেন্সিডিল পাওয়া গেছে বলে দাবী করে তাকে থানায় নেয়ার চেষ্টা চালায়।
ওই সময় স্থানীয় লোকজন এটার প্রতিবাদ করে তাকে থানায় না নেয়ার জন্য বাধা সৃষ্টি করে। তখন উপ-পরিদর্শক রাম প্রসাদ বিষয়টি দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে আব্দুল খালেককে জানিয়ে ঘটনাস্থলে আরো পুলিশ পাঠানোর অনুরোধ করেন। এর কিছুক্ষণ পর মডেল থানা থেকে উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে জাহিদকে টেনেহেঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে উঠাতে যায়। সেই মুহুর্তে একজন পুলিশ সদস্য জাহিদের অন্ডকোষে লাথি মেরে আহত করে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে আরো মারধর করে।
সে সময় আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জয়রামপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুর রহমানকেও পুলিশ মারতে মারতে গাড়িতে তোলে। মারধরের এক পর্যায়ে জাহিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাহিদের প্রতি মিথ্যা দোষ চাপিয়ে পুলিশ তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে তার স্ত্রী লিপি খাতুন দাবী করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, জয়রামপুর ফকিরের বাগানে বসে ফেন্সিডিল খাওয়ার সময় তাকে পুলিশ আটক করে। সে সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের ময়না তদন্ত করা হবে। চিকিৎসক ময়না তদন্তের প্রতিবেদন দিলে তারপর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, ফেন্সিডিল খাওয়ার সময় তাকে পুলিশ সদস্যরা আটক করলে সেখানেই সে বুকে ব্যাথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে চিকিৎসার আওতায় আনা হলে সে মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা