Tuesday 10 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৩১৪ জন, আক্রান্ত ৩ জন সুস্থ


১৫ মার্চ ২০২০ ১৪:৫৮

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ২ হাজার ৩১৪ জন বর্তমানে বাংলাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া আরও ১০ জন রয়েছেন আইসোলেশনে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪ জন। শরীরের করোনার উপস্থিতি নেই, এটি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই বিদেশ-ফেরতদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।

রোববার (১৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথম যে তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন তাদের মধ্যে তৃতীয়জনের দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ এসেছে। এক্ষেত্রে তারা তিনজনই সুস্থ এটা আমরা বলতে পারি।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, আমাদের হটলাইনে এখন পর্যন্ত মোট ফোন এসেছে ২৬ হাজার ৭৭৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭০৬টি ফোন আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে তিন হাজার ৬৭১টি কল এসেছে নভেল করোনাভাইরাস বিষয়ে। সশরীরে ৬৩ জন এসেছেন আইইডিসিআরে।

তিনি বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি সশরীরে আইইডিসিআরে না আসার জন্য। কারণ এ সময় যদি তাদের শরীরে কোনোরকমের লক্ষণ থেকে থাকে তবে সেটা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আরও ২০টি নমুনা পরীক্ষা করেছি। এ নিয়ে মোট ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলো। এর মধ্যে সর্বমোট ৫ জনের শরীরের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, নতুনভাবে যে দুইজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে একজন ২৯ বছর বয়ষ্ক পুরুষ। অপরজন ৪০ এর বেশি বয়ষ্ক যার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। তাদের দুইজনেরই জ্বর ও কাঁশি ছিল। তবে তাদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা ভালো।

তিনি বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে যারা এসেছেন তারা হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে পালন করবেন। এ ব্যাপারে গাফিলতি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে বিদেশ থেকে ফেরত আসা অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন ঠিকভাবে মানছেন না। সে কারণে যারাই আসছেন, তাদের হজক্যাম্পের কোয়ারেন্টনাইনে পাঠানো হচ্ছে।

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভব হলে আলাদা কক্ষে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবেন। আর তা সম্ভব না হলে অন্তত নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন। এছাড়া কারও হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা না থাকলে যোগাযোগ করলে আইইডিসিআর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবে।

ডা. ফ্লোরা বলেন, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তারা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছেন। কেউ হোম কোয়ান্টাইন না মানলে প্রতিবেশীরা তা জানিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়া গণমাধ্যমও তাদের সহযোগিতা করছে।

এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেন।

করোনাভাইরাস টপ নিউজ হোম কোয়ারেনটাইন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কাপ্তাই হ্রদে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১০

সম্পর্কিত খবর