পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন, সূচক ৫ বছর আগের অবস্থানে
১৫ মার্চ ২০২০ ১৮:২৩
ঢাকা : করোনাভাইরাস আতঙ্কে পুঁজিবাজারে আবারও ব্যপক দরপতন হয়েছে। রোববার (১৫ মার্চ) বড়ধরনের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। লেনদেন শুরুর ১১ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০৯ পয়েন্ট কমে যায়। দিনভর সূচকের ব্যাপক ওঠানামা শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি আগের ৫ বছরের মধ্যে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। সেইসঙ্গে ২০১৫ সালের ৫ মে‘র পর ডিএসইর সূচক প্রথমবারের মতো চার হাজার পয়েন্টের নিচে নামলো।
এর আগে গত ৮ মার্চ বিকেলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগীর সন্ধান পাওয়ার পরদিন ৯ মার্চ পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়। ওইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)‘র প্রধান সূচক হারিয়েছে ২৭৯ পয়েন্ট, যা ছিল ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ডিএসই ব্রড ইনডেক্স চালু হওয়ার পর একদিনে সূচকের সর্বোচ্চ দরপতন। এরপর গত মঙ্গল ও বুধবার সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত বৃহস্পতিবার পুনরায় দরপতন হয়। সর্বশেষ আজ রোববার পুঁজিবাজারে পতনের মাত্রা আরও বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কারণে সারা বিশ্বের পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন হচ্ছে। বাংলাদেশও এই আতঙ্ক থেকে বের হতে পারছে না। তাদের মতে, অনেক বিনিয়োগকারীর ধারণা করোনাভাইরাসের কারণে দেশের ব্যবস্থা-বাণিজ্য স্থবিরতা নেমে আসতে পারে। এতে করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি ভালো ব্যবসা করতে পারবে না। আর ব্যবসা করতে না পারলে তাদের লভ্যাংশ দেয়ার পরিমাণও কমে যাবে। এটা দরপতনের একটা কারণ হতে পারে।
এদিকে রোববার ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানির ১৬ কোটি ৯১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১০ টির, কমেছে ৩৩৮ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটির দাম। দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ৯২৬ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে রোববার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৫০টি কোম্পানির ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ১টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১২টির, কমেছে ২৩৪ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৯০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।