সাত বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে সূচক সর্বনিম্ন
১৬ মার্চ ২০২০ ১৫:১৯
ঢাকা: করোনাভাইরাস আতঙ্কে পুঁজিবাজারে আবারও বড় দরপতন হয়েছে। সোমবার (১৬ মার্চ) লেনদেন শুরুর প্রথম ২০ মিনিট বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলে শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখা যায়নি বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। দুপুরে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণার খবরে পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৯৬ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি আগের সাত বছরের মধ্যে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ মে‘র পর ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৩ হাজার ৭৫৭ পয়েন্ট। ওইদিনের পর আজ সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থানে আসে।
গত রোববার (৮ মার্চ) বিকালে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগীর সন্ধান পাওয়ার পরদিন গত ছয় লেনদেন দিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)‘র প্রধান সূচক কমেছে ৫১৫ পয়েন্ট। একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
এদিকে, সোমবার ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানির ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ১৪৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১০ টির, কমেছে ৩৩৩ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির দাম। দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪০৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৯৬ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৭৭২ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে ৮৭৪ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ৬৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে, সোমবার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৭১টি কোম্পানির ৮৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৫টির, কমেছে ২৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনশেষে সিএসইতে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৫৭ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৫৭৬ পয়েন্ট নেমে আসে।
করোনাভাইরাস পুঁজিবাজার পুঁজিবাজারে দরপতন পুঁজিবাজারে ধস সূচক সর্বনিম্ন