মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন
১৬ মার্চ ২০২০ ১৭:০৭
ঢাকা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের জন্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তও এসেছে বৈঠক থেকে।
সোমবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তেজগাঁও তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও বৈঠকে বেশকয়েকটি আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস আইন ২০২০-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন কেউ চাইলেও আর্কাইভসের কোনো রেকর্ড ও তথ্য নষ্ট করতে পারবে না। এছাড়া বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিববন্ধন এ পরিচালনা) আইন ২০২০- এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগে এই ট্যুর পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো আইন ছিল না। সেজন্য এটি করা হয়েছে। এখন কেউ ট্যুর পরিচালনা করতে চাইলে তাকে অবশ্যই সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া কেউই ট্যুর অপারেট করতে পারবে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে করোনাভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে যারাই আসবে তাদের অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে। যারা নির্দেশনা না মানবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিসি, সিভিল সার্জন, এসপি, চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইমামদের করোনাভাইরাস সর্ম্পকে সচেতনতা এবং নিয়ম কানুন মেনে চলার বিষয়টি প্রচার করতে বলা হয়েছে। কেউ কোথাও তা ভায়োলেট করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সচিব বলেন, ‘দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, অভিভাবকদের নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের ছেলেমেয়েরা যেন ঘুরে না বেড়ায়। কারণ তাদের ছুটি দেওয়াই হচ্ছে সেফটির জন্য। বাইরে যদি ঘোরাফেরা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আইন আপনাকে কোন বেআইনি কাজের জন্য প্রোটেকশন দেবে না।’