Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্নীতি মামলা: মিজানের চার্জগঠন শুনানি শেষ হলেও, হয়নি বাছিবের


১৬ মার্চ ২০২০ ১৭:২৯

ঢাকা: ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী ১৮ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আদালত।

সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

এদিন সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের পক্ষের চার্জশুনানি শেষ করেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। অপর আসামি সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের চার্জশুনানি পেছানোর জন্য সময়ের প্রার্থণা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর করিম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক চার্জশুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ঠিক করেন।

গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জোর করে বিয়ে এবং সম্পর্ক গোপন রাখার অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। পরে মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক।

বিজ্ঞাপন

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

৪০ লাখ কোর্ট জজ দুদক দুর্নীতি ফানাফিল্যাি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর