বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইন: চট্টগ্রামে ২ হাসপাতাল নির্ধারণ
১৬ মার্চ ২০২০ ১৮:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনে রাখার জন্য চট্টগ্রাম নগরীতে রেলওয়ে হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আইসোলেশনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে জেনারেল হাসপাতাল ও সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস (বিআইটিআইডি)।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে রাখার মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তের পর সিভিল সার্জনকে নিয়ে তিনি রেলওয়ে হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। এরপর সিদ্ধান্ত হয়েছে- বাধ্যতামূলকভাবে যাদের কোয়ারেনটাইনের প্রয়োজন হবে, তাদের প্রথমে রেলওয়ে হাসপাতালে রাখা হবে। সিআরবিতে রেলওয়ে হাসপাতাল পূর্ণ হয়ে গেলে নগরীর আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রাখা হবে। আর আইসোলেশনের ক্ষেত্রে জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটা আমাদের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব’ বলেন জেলা প্রশাসক।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মোট ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিআইটিআইডিতে আইসোলেনের জন্য ৫০টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি, রেলওয়ে হাসপাতালে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল এবং সিটি করপোরেশন পরিচালিত কয়েকটি হাসপাতালসহ নগরীতে মোট ৩৫০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নগরীর বাইরে উপজেলাগুলোর মধ্যে রাউজানে ৩০টি এবং হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড ও বোয়ালখালী উপজেলায় ১০টি করে বেড এবং পাশাপাশি জেলার ১৪টি উপজেলার মধ্যে বাকি আটটিতে পাঁচটি করে বেড প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
এদিকে কোয়ারেনটাইনের জন্য আবাসিক হোটেল নির্ধারণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেও মোটেল সৈকত কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে সেটিকে চূড়ান্ত করা যায়নি। এই অবস্থায় অন্য কোনো হোটেলও চূড়ান্ত করা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘যদি সেরকম পরিস্থিতি হয় তখন আমাদের যে স্থানই প্রয়োজন সবই ব্যবহার করা হবে। তখন কারও আপত্তি দেখা হবে না।’