‘বুধবার থেকেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে সব ব্যাংক’
১৭ মার্চ ২০২০ ০১:৩২
ঢাকা: আগামী বুধবার (১৮ মার্চ) থেকেই দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের পুঁজিবাজারে ধ্বস নেমেছে। তবে ব্যাংকগুলোও বিনিয়োগ শুরু করছে। ফলে এই ধ্বস দ্রুতই কাঠিয়ে ওঠা যাবে।
সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ প্রতিনিধিরা। অর্থমন্ত্রী নিজেই সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভাইরাস যখন আসেনি, তখন কিন্তু মার্কেট ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল। হঠাৎ করে চীনে যখন ভাইরাস হানা দিলো, সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট কমতে শুরু করল। এই সময়ে সবাইকে যে জোর করে রাখব, সেই ব্যবস্থা নেই। আমাদের খারাপ লাগে। জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। সেই জায়গা থেকে বলব, পুঁজিবাজারকে আগে ওঠাতে হবে। উঠিয়ে স্থিতিশীল করতে হবে।
দেশের ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ করবে বলে আশ্বস্ত করেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। অনেকেই আছেন, পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। ১০ টাকার শেয়ার ৫ টাকায় বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা আজ বসেছি এখানে যে তাদের জন্য কিছু করতে পারি কি না। এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাংকগুলো হলো প্রাথমিক উৎস। তারা সবাই আশ্বস্ত করেছেন, তারা বিনিয়োগ করবেন। পুঁজিবাজারের কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন।’
এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজার যখন উঠছিল, তখন করোনাভাইরাস আসার পর ভয় পেয়ে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এখনই ওই ২০০ কোটি টাকা যেটা দেওয়া হয়েছে, সব মিলিয়ে সেখানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আছে। এখনই ওই টাকার সদ্ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেকটা ব্যাংক রাজি হয়ে গেছি যে বাংলাদেশ ব্যাংকের শর্তসাপেক্ষে বুধবার থেকে আমরা শেয়ার কেনার জন্য বসব।’
বিএবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখানে প্রায় ৫০টির মতো ব্যাংক আছে। সবাই ২০০ কোটি টাকা করে একবারে শেয়ার কিনবে না। ক্রমান্বয়ে কিনবে। এটা মনিটরিং করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। হঠাৎ করে একজন ২০ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে, এটা হবে না। বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী কিনবে। ৫০০ বা ৬০০ কোটি টাকার বেশি যেন শেয়ার কেনা না হয়। কারণ হঠাৎ করে ১০০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হলো, পরের দিন ধ্বস নামলো, এটা যেন না হয়।
এ সময় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বলেন, পুঁজিবাজারে এখন যে স্থবিরতা বিরাজ করছে, আস্তে আস্তে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এটাই ছিল সভার মূল বিষয়। আমরা সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে মোটামুটিভাবে একমত। দুয়েকটা বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসে বুঝে নিতে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স এবিবি পুঁজিবাজার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাংলাদেশ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস বিএবি ব্যাংক শেয়ার বাজার