জাপানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত
১৭ মার্চ ২০২০ ১২:০৩
ঢাকা: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সঙ্গে মিল রেখে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হাতে নেওয়া হয়েছে।
মুজিব শতবর্ষ পালনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার । পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে ড. শাহিদা আকতারের নেতৃত্বে দূতাবসের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
ড. শাহিদা আকতার তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। দেশে-বিদেশে যে যেখানেই আছেন, সবাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।’
পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া জাতির জনকের জীবন ও কর্মের ওপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলোনায়তনকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে সতর্কতা হিসেবে এবছর অনুষ্ঠানটিতে শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণসহ ইতোপূর্বে গৃহীত বিভিন্ন করমসূচি সীমিত করা হয়েছে।