২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন পুতিন?
১৭ মার্চ ২০২০ ১৫:২২
রাশিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ‘অবৈধ ক্যু’ ঠেকাতে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে জনগণের দায়ের করা এক পিটিশনের শুনানির পর ৫২ পৃষ্ঠার এক রায় ঘোষণা করেছে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। সোমবার (১৬ মার্চ) ঘোষিত ওই রায়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন তা নির্বিঘ্নে চলতে পারে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে, কয়েক হাজার রাশিয়ার নাগরিক ওই পিটিশনে সই করেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, প্রায় দুই দশক ধরে রাশিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবিধানে নতুন সংশোধনী আনার মাধ্যমে ‘অবৈধ ক্যু’ করে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা নিরাপদ করতে চাইছেন পুতিন। ওই ‘অবৈধ ক্যু’ ঠেকাতে আদালতের নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয়েছিল। পিটিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আদালত পুতিনের পক্ষে দীর্ঘ সাফাই গেয়ে বলেছেন সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া চলতে কোনো বাধা নেই।
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সংবিধান সংশোধনের রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ও পার্লামেন্টের মধ্যে নির্বাহী ক্ষমতার পুনর্বন্টনের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার পার্লামেন্টে উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ভালাদিমির পুতিন নাটকীয়ভাবে একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ওই সংশোধনী পার্লামেন্টে গৃহীত হলে, ২০২৪ সালে পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ক্ষেত্রে পুতিন যে সাংবিধানিক বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতেন, তা তুলে নেওয়া হবে।
এই সংশোধনী অবশ্য আগামী এপ্রিলে রাশিয়াজুড়ে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে পাস করলে তারপরই গৃহীত হবে। ওই গণভোট পর্যায় অতিক্রম করতে পারলেই, ২০২৪ সালের পর ৬ বছর করে দুই মেয়াদে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত পুতিনের রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত হবে।
যদিও, ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন কি না – সে ব্যাপারে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।