‘এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে দেশে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে’
১৭ মার্চ ২০২০ ১৮:১৩
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আমরা ১০ জনের নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তকে শনাক্ত করেছি। এ ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বলতে পারি, দেশে এখনো কোনো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন মিশন হয়নি, তবে লোকাল ট্রান্সমিশন হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি জানান, দেশে আরও দুই করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত একজন ইতালি ফেরত।
অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। এর আগে আমরা দেখেছি দুইজন ইতালি ফেরত ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন। আজকে যে দুইজন শনাক্ত হলো তাদের একজনও আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর মাধ্যমে। ওই প্রবাসী ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন। অপরজন আক্রান্ত হয়েছে ইতালিফেরত একজন আক্রান্তের মাধ্যমে।’
পারিবারিক পর্যায়ে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি- পারিবারিকভাবে খুব শক্তভাবে আমাদের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। কারণ, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমরা সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কমিউনিটি অর্থাৎ স্থানীয় বা সামাজিক সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া যায়নি।’
কারও জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই করোনা আক্রান্ত বলে মনে করার কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশ ফেরত হলে বা এরকম কারও সংস্পর্শে এলে এবং লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যাওয়ার বা আইইডিসিআরে আসার কোনো দরকার নেই।’
হটলাইনে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়া যাবে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আসবে বলেও জানান অধ্যাপক ফ্লোরা।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) শনাক্ত হওয়া দুজনসহ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রথম তিনজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।