জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে উদ্বেল সারাদেশ
১৭ মার্চ ২০২০ ২২:৫৫
শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু একটি নাম নয়, একটি দেশের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে এই একটি নামেই। মানুষকে ভালোবেসে তিনি হয়েছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু’। শত বছর শোষণ আর নিপীড়নের বেড়াজালে আবদ্ধ একটি জাতিকে মুক্তির দিশা দেখিয়ে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। তাই তিনি জাতির পিতা।
সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ছিল আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ)। তার জন্মশতবর্ষের আয়োজনকে মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা ছিল আগে থেকেই। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সে আয়োজন সীমিত পরিসরের পালনের নির্দেশনা দেয় সরকার। সেই নির্দেশনা মেনেও বাঙালির মহানায়কের শততম জন্মবার্ষিকীতে সারাদেশে ছিল উৎসব আর উচ্ছ্বাসের আবেশ। সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর।
ময়মনসিংহ
জন্ম শতবর্ষের আয়োজনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয় ময়মনসিংহে। নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে একশবার তোপধ্বনি ও একশ বেলুন উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি, ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ, রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান। এরপর সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা জানান। পরে দিনব্যাপী কেক কাটা, দোয়া-আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে।
বরিশাল
১৭ মার্চ প্রথম প্রহরে আতশবাজি আর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এরপর শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
দিবসের কর্মসূচিতে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা। এছাড়া ছিল রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
হিলি (দিনাজপুর)
হিলিতে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলমের নেতৃত্বে প্রথমেই উপজেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এর পর একে একে পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, পৌরসভা, হিলি স্থলবন্দর, কাস্টমসসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, পৌর মেয়র জামিল হোসেন, হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আখিউল ইসলামসহ অনেকে।
এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর কেক কেটে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
বগুড়া
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র্যালি, বিশেষ মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকালে বগুড়া সেনানিবাসে ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। পরে সমাবেশ ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়াও বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা নানা কর্মসূচি পালন করেন। অন্যদিকে বগুড়া প্রেস ক্লাব, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়াসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
চুয়াডাঙ্গা
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগীত, কুইজ, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ ও শিশুদের উপস্থিতিতে কেক কাটা হয়। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শান্তির দূত’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা এবং ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ১৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সকারি, স্বায়িত্বশাসিত, বেসরকারি ভবন, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, স্থাপনাসমূহ, হাসান চত্বর ও শহরের প্রধান প্রধান সড়ক নান্দনিক আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। ১৮ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই আলোকসজ্জা।
দিনাজপুর
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনী ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। দিনাজপুর প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃত ম্যুরালে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে চৌকষ পুলিশ বাহিনী। এ সময় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃত ম্যুরালের সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে তারা ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।
পরে দিনাজপুর গোর-এ-শহিদ বড় ময়দানে মুজিববর্ষের কেক কেটে, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেয়।
গাজীপুর
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীর জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গাজীপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কেক কেটে দিবসটি পালন করা হয়। এ সময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী জামিল আহমেদসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, ভোরে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভুইয়াসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামীলীগ যুবলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা জানান বঙ্গিবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।
কিশোরগঞ্জ
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুজিবর্ষের কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেয়ালিকা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, গৃহহীনদের মাঝে ঘর ও অসুস্থদের চিকিৎসা বাবদ অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পর অবশেষে মুজিববর্ষের প্রথম দিনে চালু হলো কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি সকাল ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
লক্ষ্মীপুর
মুজিববর্ষ ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা কালেকটরেট ভবণ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতাসহ অন্যরা।
মঠবাড়য়া (পিরোজপুর)
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে এতিমদের নিয়ে দোয়া, মিলাদ, কেক কাটা ও দুপুরের খাবারের আয়োজন করেছিল মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার জোহরের নামাজ শেষে এতিমদের নিয়ে জাতির পিতার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ মো. মাসুদুজ্জামান ও থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হকসহ থানার সব অফিসার বাকি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এতিমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান।
মেহেরপুর
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের সূচনা হয়। এসময় কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ক্ষণগণনার স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রসাশক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। পরে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও ছিল দিনব্যাপী নানা আয়োজন।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও উপজেলা প্রশাসনগুলোর পক্ষ থেকে ছিল মুজিববর্ষের বিভিন্ন আয়োজন।
মোংলা (বাগেরহাট)
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মোংলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মোংলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত মান্নান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশী, মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
নড়াইল
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন ক্রিকেট তারকা নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরে আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এবং বঙ্গবন্ধু মঞ্চ চত্বরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ৭ মার্চের ভাষণ উচ্চারণের পর কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু মঞ্চে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসসহ অন্যরা।
এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, নড়াইল প্রেস ক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
নরসিংদী
সকলে ফুল দিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জেয়ারদার। এরপর একে একে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধা সংসদ, জেলা স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ হাজারো জনতা।
নাটোর
‘মুজিববর্ষে সোনার বাংলা, ছড়ায় নতুন স্বপ্নাবেশ, শিশুর হাসি আনবে বয়ে, আলোর পরিবেশ’— এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাটোরে পালিত হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। মঙ্গলবার সকালে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ ও জেলা প্রশাসক মো. শাহ রিয়াজের নেতৃত্বে কালেক্টরেট ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভা। জেলা আওয়ামী লীগও সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ কর্মসূচি পালন করে।
নোয়াখালী
সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মুজিব চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা আওয়ামী লীগ, সরকারি বিভিন্ন দফতর, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতি ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
নোয়াখালী পৌর ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পৌর মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সদর উপজেলা পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে বৃক্ষরোপণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এছাড়া কেকটাকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে উৎসবমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়।
রংপুর
মঙ্গলবার সকালে রংপুর নগরীর ডিসির মোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সারিবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া রংপুরের উপজেলাগুলোতেও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা
১৭ মার্চ প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটে) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশরফ হোসেন মশুসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও শ্রদ্ধা জানান এসময়।
এছাড়া কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ১০০ বার তোপধ্বনী, সূর্যোদয়ের পরে সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় দেয়াল পত্রিকার উদ্বোধন। এরপর সকাল ১১টায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, ভূমিহীন পরিবারের মাঝে খাস জমির দলিল হস্তান্তর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, ভবন ও প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জাসহ নান কর্মসূচি পালিত হয়।
শরীয়তপুর
সকাল সাড়ে ৮টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শরীয়তপুরবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের সর্বপ্রথম জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা পুলিশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসন চত্বর ও জেলা পরিষদ চত্বরে জাতির জনকের ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়।
টাঙ্গাইল
সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি ও সকালে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগ, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি দফতর এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসের পক্ষে থেকে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও
সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতকা উত্তোলন শেষে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, উপজেলার চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুন্সীগঞ্জ
সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির পর সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এরপর জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা জানান। সকাল ১০টায় জেলা ডাকবাংলোতে শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে ১০০টি পায়রা উড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ১০০টি বেলুন উড়ানো হয়। সকাল সোয়া ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে কেক কাটা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়। সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নওগাঁ
নওগাঁয় আব্দুল জলিল ফাউন্ডেশ নানা আয়োজনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে। সকালে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিকেলে ফাউন্ডেশনের উকিলপাড়ার কার্যালয়ে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাবু নির্মল কৃষ্ণ সাহা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, ফাউন্ডেশনের সভাপতি তাজুল ইসলাম তোতা, সহসভাপতি আহসানুর কবির চৌধুরী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হাবীব রাজনসহ অন্যরা।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারক কর্নার মুজিববর্ষ মুজিববর্ষ উদযাপন