Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আলোর ঝলকে পর্দা নামল মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের


১৮ মার্চ ২০২০ ০১:২৯

ঢাকা: তখনো ঘড়ির কাটায় ১০টা বাজেনি। মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তখন প্রায় শেষের দিকে। সংসদ ভবনে নিভে যাওয়া লেজারের আলোগুলো ফের জ্বলতে শুরু করেছে। সে আলোতে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ভেসে উঠতে লাগল বঙ্গবন্ধুর অবয়ব। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়ের মুহূর্ত। অতপর সংসদ ভবনের আকাশে আতশবাজির ঝলকানি। রঙ ছড়িয়ে পড়লো পুরো আকাশে। হর্ষধ্বনিতে মেতে উঠল দর্শনার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলাবার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে এমনই দৃশ্যপটের অবতারণা হয়।

রাত ৮টার আগেই সাধারণ জনতা জড়ো হন সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। অপেক্ষা করেন আতশবাজির। প্রায় দুই ঘণ্টা তারা সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মেতে থাকেন আলোকচ্ছ্বটায়।

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান দেখতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। খামারবাড়ি মোড় থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত দর্শনার্থীরা ভিড় করেছিলেন সে উৎসব দেখতে। টিভি স্ক্রিনে দেখানো হয় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’। সেখানে চোখ রাখেন দর্শনার্থীরা।

‘মুক্তির মহানায়ক’ অনুষ্ঠানটি একযোগে চলে দেশি-বিদেশি টেলিভিশনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের শুভেচ্ছাবার্তার ভিডিও-ও প্রচারিত হয়। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা বাবাকে উৎসর্গ করে একটি কবিতাও লিখেছেন, তা আবৃত্তি করেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর মুজিবর্ষের থিম সং-এ কণ্ঠ দিয়েছেন শেখ রেহানা।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গান পরিবেশন করা হয় অনুষ্ঠানে। জাতির জনককে নিয়ে বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার আকরাম খানের বিশেষ এক কোরিওগ্রাফিতে শেষ হয় ‘মুক্তির মহানায়ক’।

উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানের পরেই আতশবাজি আর লেজার শো’র ঝলক চোখ জুড়িয়ে দেয় সবার। শেষ হয় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা।

বিজ্ঞাপন

আতশবাজি মুজিববর্ষ লেজার শো সংসদ ভবন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর