ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিববর্ষ উদযাপন
১৮ মার্চ ২০২০ ০৯:০২
ইতালি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। বিভিন্ন বর্ণিল কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও প্রাণাঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের ফলে সীমিত আকারে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর তিনি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর সেখানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় গৌরবান্বিত জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘এই মহামানব ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্ভিক, অমিত সাহসী এবং মানবদরদী। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়া। গণমানুষের এ অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সারাজীবন আন্দোলন করেছেন। এজন্য তাকে বিভিন্ন মেয়াদে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের কারাগারে প্রায় ১৩ বছর অন্তরীণ থাকতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গেঁথেছিল বলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি এ কাজ সমাপ্ত করার আগেই ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে সপবিবারে শহীদ হন। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন।’ এ ক্ষেত্রে সকলকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নিহত সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং করোনাভাইরাসের রাহু গ্রাস থেকে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।