তামাক পণ্যের কর বাড়িয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদ
১৯ মার্চ ২০২০ ০০:২৫
ঢাকা: তামাক পণ্যের কর কাঠামো সহজ ও কর বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কর বাড়ালে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে, তেমনি মানুষের আয়ের ওপর প্রভাব পড়লে সিগারেট সেবনের হারও কমবে।
বুধবার (১৮ মার্চ) বাজেটে তামাক পণ্যের করারোপ বিষয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এ দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও ক্যম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, গবেষক ড. মাহফুজ কবীর, ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডসের আবদুস সালাম ও প্রজ্ঞা’র এ বি এম জুবায়ের।
প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের জন্য চারটি প্রস্তাব দেওয়া হয় কর্মশালায়।
প্রথম প্রস্তাবে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা চারটি থেকে দুইটিতে নামিয়ে আনতে বলা হয়। ৩৭ টাকা ও ৬৩ টাকা— এই দুইটি মূল্যস্তরকে একত্রিত করে একটি মূল্যস্তর (নিম্নস্তর) এবং ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা মূল্যস্তরকে একত্রিত করে আরেকটি মূল্যস্তরে (প্রিমিয়াম) নিয়ে আসা। নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ৬৫ টাকা ও প্রিমিয়াম স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের জন্য নিম্নস্তরে ১০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিড়ির ফিল্টার ও নন-ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬ দশমিক ৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। অন্যদিকে ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৫ দশমিক ৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে।
ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের (জর্দা ও গুল) মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪০ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৩ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রতি ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের ওপর যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭১ টাকা ও ৩ দশমিক ৪৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং সব তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রাখতে হবে।