রাঙ্গামাটি-বান্দরবানে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা
১৯ মার্চ ২০২০ ০১:৫৯
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ে সতর্কতার কারণে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, আরেক পার্বত্য জেলা বান্দরবানেও পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তথ্য নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটির সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নির্দেশনা যদি কেউ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা আবাসিক হোটেলি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, বুধবার যারা রাঙ্গামাটি এসেছেন, তাদের কাল (বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ) সকালে রুম ছেড়ে দিতে বলা হবে। আর কাল থেকে নতুন করে কাউকে রুম ভাড়া দেওয়া হবে না। আমরা এরই মধ্যে সব হোটেল মালিককে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনসমাগম নিষিদ্ধ করায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের আগমন নিরুৎসহিত করা হলো।
রাঙ্গামাটি থেকে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, করোনা আতঙ্কে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতেও পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। সাজেকে অবস্থিত বিভিন্ন কটেজ ও রিসোর্ট মালিকরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন পর্যটকের উপস্থিতি একেবারেই কমে গেছে। অনেকেই আগের অগ্রিম বুকিংও বাতিল করেছেন।
বান্দরবান থেকে সারাবাংলার ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় মেঘলা, নীলাচল, রামজাদি, মিরিঞ্জা, তিন্দু, বড় পাথর, নাফাখুম, রেমাক্রির মুখ, বড় মদকসহ অসংখ্য পর্যটন স্পট রয়েছে। অর্ধশত পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসেন। পর্যটকদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিস্তার লাভ করতে পারে— এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের।