সরকারি কাজ পেতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জন্য আয়কর সনদ বাধ্যতামূলক
১৯ মার্চ ২০২০ ০২:২২
ঢাকা: এখন থেকে আয়কর সনদ ছাড়া কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারি কাজ পাবে না। পাশাপাশি কাজ পেতে ঠিকাদারদের সম্পদের পরিমান, কর দেওয়ার পরিমান সহ হালানাগাদ তথ্য দেখাতে হবে। এ উদ্যোগের ফলে করদাতার সংখ্যা বাড়বে এবং রাজস্ব বৃদ্ধির আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
বুধবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব ঠিকাদার সরকারি কাজ করবে তাদের সব ধরনের তথ্য সরকারের কাছে থাকা বাধ্যতামূলক। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেবে তা বাস্তবায়ন করবে বড় এবং মাঝারি ধরনের ঠিকাদার। তারা সকলেই কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এখন থেকে সেসব ঠিকাদারদের আয়, আয়কর, আয়কর সনদ সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। যারা এ সিদ্ধান্ত মানবেনা তারা সরকারি কাজ পাবেনা।
উৎসে কর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাদের থেকে সরকার উৎসে কর নেয় সেটা অনেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না। যে পরিমাণ লাভ করবে বলে আমরা ধারণা করেছিলাম সে পরিমাণ লাভ করতে পারে না। সুতরাং তাদেরকে রিফান্ড দেয়া লাগে। রিফান্ড দিতে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেজন্য আমরা একটাকে আরও সহজ করে দিবো। হয়তো আমরা একটা অন্য আকারে নিয়ে যাবো।
এসময় করোনাভাইরাস নিয়েও কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, মরনঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চায়নার মতো বিশেষ হাসপাতাল তৈরির প্রয়োজন হলে অর্থায়নে কোন সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় যদি দ্রুত সময়ে চায়নার মতো বিশেষ হাসপাতাল করতে চায় তাহলে প্রধানমন্ত্রী অর্থায়ন করতে না করবেন না বলে আমার বিশ্বাস।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে আছে। দেশে যেভাবে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তার বিষয়। যাতে করে এর সংখ্যা কম রাখা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ আমাদের এখন অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রথমে যখন চায়নায় শুরু হয়েছিল তাদের কোন অভিজ্ঞতা ছিলনা। এজন্য তাদের একটু বেশি ভোগতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সেই চেষ্টা চলছে। কি করলে দেশকে ও জাতিকে মুক্ত রাখতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আর এই কাজটি করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এটা শুধু স্বাস্থ্য বা অর্থমন্ত্রণালয়ের কাজ না আমি মনে করি এটা সকলের কাজ।
আশস্তকরে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি কোন আর্থিক কোন সমস্যায় পড়ে বা তাদের আর্থিক কোন সক্ষমতা নেই। আমাদের অর্থের কোন সমস্যা নেই। আমরা আর্থিকভাবে সক্ষম আছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যদি কোন যন্ত্রাংশ কিনতে লাগে, আনুসাঙ্গিক সাপোর্ট বাড়াতে হয় আমাদের জানালে আমরা যথা সম্ভব সহায়তা করবো। সকল ভাবে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে সাহায্য করবো অর্থায়ন করে। যাতে তারা তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কোনভাবে পিছিয়ে না থেকে কাজ করতে পারে।
আইএমএফ করোনা মোকাবেলায় ৫০ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের ঘোষণা করেছে সেখানে আমাদের সরকার এটা নিয়ে কোন চিন্তা করচে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইএমএফ টাকা দিলে আমাদেরকেও টাকা দিবে। আমরাও পাবো সেখানে। আইএমএফসহ এডিবি ও টাকা দেবে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মহল থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাই সেটা আপনাদেরকে জানাবো।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আয়কর করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারি কাজ