কিট না আসায় করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি চট্টগ্রামে
২৩ মার্চ ২০২০ ২০:২৭
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দুদিন আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এখনো করোনাভাইরাস সংক্রমণ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়নি চট্টগ্রামে। এখনো পৌঁছায়নি করোনাভাইরাস শনাক্তকারী কিট। এদিকে আন্তর্জাতিক রুটের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে বিদেশ থেকে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে নতুন করে কাউকে হোম আর কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়নি।
গত ২১ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় গঠিত বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, চট্টগ্রাম থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নির্ণয় করা হবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্দেহজনক রোগী সরাসরি বিআইটিআইডিতে না পাঠিয়ে আগে নমুনা সংগ্রহ করে সেখানে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে ঘোষণার তিনদিনেও সোমবার পর্যন্ত সেখানে সংক্রমণ নির্ণয় শুরু হয়নি। বিআইটিআইডি থেকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন ডাক্তার এবং দুইজন টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তারাও ফিরে আসেননি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া।
ফজলে রাব্বি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। আশা করি কিট নিয়ে তারা আসবেন এবং নমুনা পরীক্ষা চট্টগ্রামে শুরু হবে।’
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসা ৯৭৩ জন এখনো হোম কোয়ারেনটাইনে আছেন। গত দুদিনে নতুন করে কাউকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়নি। এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সাতজনের রক্তের নমুনা রাজধানীর মহাখালীতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রশাসনে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এসব নমুনায় সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি।
করোনা ভাইরাস নিয়ে যেকোনো ধরনের গুজব ছড়ানোর তথ্য, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেনটাইনের আদেশ না মানা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ানোর তথ্য নিতে সিএমপির হটলাইন নম্বর- ০১৪০০-৪০০৪০০ চালু হয়েছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের হটলাইন ২৪ ঘণ্টা চালু আছে। বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। বেশিরভাগই হচ্ছে- বিদেশ থেকে এসে কোয়ারেনটাইন না মেনে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে এই ধরনের তথ্য। আমরা মূলত যেকোনো তথ্য পাবার পর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সেটা শেয়ার করছি এবং সমন্বয় করছি।’
সারাবাংলা/আরডি/এমআই