দ্বিতীয় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত, এক সপ্তাহের লকডাউনে নেপাল
২৪ মার্চ ২০২০ ০০:৪৯
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে নেপালে। এর পরপরই দেশজুড়ে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩১ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে গোটা নেপাল।
নেপালের গণমাধ্যমগুলোর খবর, সোমবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গঠিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর নেপালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল রাতে এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
পোখরেলের ব্যক্তিগত সহকারী প্রভাত কাতুয়াল বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই গোটা দেশে লকডাউন শুরু হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হবেন না।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গয়ালি বলেন, লকডাউন চললেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে, যেন মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সুযোগ পায়। তবে দোকান খোলা রাখার জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে না। কেননা, তাতে করে দোকানে বরং ভিড় তৈরি হতে পারে।
এর আগে, সোমবার বিকেল নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ফ্রান্স থেকে কাতায় হয়ে আসা ১৯ বছর বয়সী এক নেপালি শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নেপালে আগে থেকেই চলাচল সীমিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এসময় দোকানপাটসহ অফিস-আদালত সবই খোলা ছিল। তবে সবাইকে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। এবারে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় অফিস-আদালত সব বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অভ্যন্তরীণ সব ধরনের যানচলাচলও বন্ধ থাকবে এ সময়।
সোমবার শনাক্ত হওয়া শিক্ষার্থীসহ নেপালে এ পর্যন্ত দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থও হয়ে উঠেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ও ভুটানেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে কম। দুইটি দেশেই এ পর্যন্ত দু’জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নেপালই সবচেয়ে কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে।