ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি শনাক্ত
২৫ মার্চ ২০২০ ০৯:৫৬
ঢাকা: ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সিআইডির ফরেনসিক শাখার ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘শেরপুর জেলার নকলা থানার একটি হত্যা মামলায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা থেকে রক্তের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আসামি শনাক্ত করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ডিএনএ ল্যাবরেটরি ইউনিট।’
তিনি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি নকলা থানার রুনীগাঁও গ্রামের সোহেল মিয়ার ছাগল আহসানুল কবীরের জমিতে ঢুকে ধানের চারা নষ্ট করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়লে তাদের প্রতিবেশী আ. বারেক ঝগড়া বিবাদ মীমাংসার চেষ্টা করে। বারেক তাদের ঝগড়া বিবাদ মীমাংসা চেষ্টা করার ফলে আহসানুল কবির ও তার পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় ও তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করে।
সিআইডির ফরেনসিক শাখার ডিআইজি জানান, পরদিন বারেক জমিতে কাজ করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হলে পথে আহসানুল কবীর এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার পথ রোধ করে ধারালো ছোরা দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ সময় আ. বারেকের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তী সময়ে আ. বারেকের পুত্র মো.শামীম বাদী হয়ে আসামি আহসানুল কবীর এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আহসানুল কবীরের কাছ থেকে রক্তমাখা ধারালো কাঠের বাটযুক্ত একটি ছোরা জব্দ করে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সিআইডিতে আলামত হিসেবে রক্তের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে ওই ছোরা পরীক্ষা করে। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, ছোরাতে লেগে থাকা রক্ত এবং মৃত আ. বারেকের শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের ডিএনএ প্রোফাইল সম্পূর্ণ এক। তাই ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল থেকে প্রমাণিত হয় যে, আসামি আহসানুল কবীরের কাছ থেকে জব্দকৃত ছোরা দিয়ে বারেককে খুন করা হয়।
সিআইডির দাবি, ডিএনএ ফলাফলের মাধ্যমে প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ডিএনএ প্রতিবেদন সহায়তা করবে বলে জানান ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।