বন্ধ রেল-নৌ-আকাশ, সড়কপথে মানুষের বাড়ি ফেরার ঢল
২৫ মার্চ ২০২০ ১১:২২
ঢাকা: সারাদেশে রেল, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সড়কপথে এখনও চলছে যানবাহন। কাল থেকে সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হবে গোটা দেশে। তাই শেষ মুহূর্তে ঢাকা ছাড়তে এখনও অনেক মানুষ টার্মিনালের পথে। গতকাল রাতে যারা রওনা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই এখনও বাড়ি পৌঁছাননি। এর মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই কদিমদললায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগেছে। ঢাকা থেকে মির্জাপুর আড়াই ঘণ্টার সড়ক পথ ১০ ঘন্টায়ও পৌঁছাতে পারছেন না উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা।
বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলে মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। সাধারণ ছুটি পেয়ে ঢাকা ছাড়ছেন হাজার হাজার মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক সঙ্গনিরোধ বজায় রাখতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সঙ্গে বন্ধ করেছে রেল, নৌ ও আকাশপথ। এখন শুধু যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে সড়কপথে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার থেকে গণপরিবহন লকডাউন ঘোষণা করেছেন। এজন্য শেষ মুহূর্তে ঢাকা ছাড়তে সব চাপ পড়েছে সড়কপথে। সঙ্গনিরোধের গণ্ডি ভেদ করে এই সুযোগে উল্টো ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পথে নগরে থাকা লাখো মানুষ।
সপরিবারে রংপুরে রওনা হয়েছেন মাজেদা বেগম। তার স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন। তিনি মনে করেন, এই ছুটির মধ্যে ঢাকার চেয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করা ভালো।
যাত্রাপথে করোনার ঝুঁকি নিয়ে জানতে চাইলে মাজেদা বলেন, ‘পরিবারের কারও মধ্যে এখনও এ ধরনের লক্ষণ নেই। আর ঢাকায় করোনা হলে যে চিকিৎসা পাবো তার তো নিশ্চয়তা নেই। গ্রামে কিছু হলে লোকজন পাওয়া যাবে।’
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এনা পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিক জানান, রাত থেকে যে যাত্রী চাপ তা তিনি ঈদের সময়ও দেখেননি। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা এখন চালক ও হেলপার সংকট পড়েছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী বহু মালবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান বোঝাই হয়ে মানুষ ছুটছে বাড়ির পথে। মির্জাপুর গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, যে যেভাবে পারছেন বাড়ির পথে ছুটছেন অনেকেই। অনেকেই বাস রিজার্ভ করে রওয়ানা দিয়েছেন। এর মধ্যে বড় সংখ্যায় রয়েছে পোশাক শ্রমিক। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ চলছে। যে কারণে অতিরিক্ত যাত্রী চাপে যানজট লেগেছে।