প্রতিটি জায়গায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি : পুতুল
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩৮
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০১০-২০১১ সালের দেশের প্রতিটি জায়গায় আমি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, এখন এ ব্যাপারে অনেক কাজ হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভোলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস এর চেয়াপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।
বুধবার রাজধানীর আইসিডিডিআরবি অডিটোরিয়ামে ‘সরকার ও উন্নয়ন সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিবন্দীদের জন্য করণীয় ও প্রতিবন্ধিতা চিহ্নিত করণে সমন্বিত উদ্যোগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবন্ধিতা চিহ্নিত করণ ও সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একটি পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এক্সপার্ট অ্যাডভাইজারি প্যানেল অন মেন্টাল হেলথ-এর মেম্বার পুতুল বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রকল্পটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখবো আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী, কী-ভাবে এটা সমাধান করা যায়। যারা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বসবাস করে তাদের ধরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইউনিসেফের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের সমস্য ও করনীয় বিষয়ক পাইলট প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়েছে। গবেষণা সংস্থা আইসিডিডিআরবি ও উন্নয়ন সংস্থা ফেইথ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করবে।
আইসিডিডিআরবির উপনির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবন্ধিতা চিহ্নিত ও পুনর্বাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ব্যাপারে সমন্বিত পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। মনে করি এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই অভাব পূরণ হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব জিল্লুর রহমান জানান, প্রতিবন্ধীদের জন্য ও তাদের সুরক্ষার জন্য দেশে প্রতিবন্ধী আইন ২০১৩ এবং নিউরো ডেভোলপমেন্ট ট্রাস্ট আইন রয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫ লাখ ১০ হাজার প্রতিবন্ধী রয়েছে। এর মধ্যে নিউরো ডেভোলপমেন্ট বিষয়ক প্রতিবন্ধী রয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার। বাকি ৮ লাখ প্রতিবন্ধীকে সরকার ভাতা দেয়।
তিনি আরও বলেন, আইনে বলা আছে প্রতিবন্ধীদের জীবন যাপনের সব ব্যবস্থা করবে সরকার কিন্তু এখনো সেটা করতে পারেনি। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক সমস্যা চিহ্নিত ও তাদের কারা সাহায্য করতে পারবে সেটাও চিহ্নিত করতে পারবো।
সারাবাংলা/জেএ/এমআই