বাতিল হচ্ছে হস্তশিল্পের ক্রয়াদেশ, বেতন নিয়ে শঙ্কায় শ্রমিকেরা
২৬ মার্চ ২০২০ ০১:০৯
ঢাকা: তৈরি পোশাকের মতো হস্তশিল্পেরও ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। এতে স্থবির হয়ে পড়ছে উৎপাদন। এরই মধ্যে কারখানাগুলোতে পড়ে আছে উৎপাদিত পণ্য। আদেশ বাতিল হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন হস্তশিল্পের উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি বাংলাক্রাফটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি গোলাম আহসান বুধবার (২৫ মার্চ) রাতে সারাবাংলাকে বলেন, একের পর এক অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। আমাদের কারখানায় উৎপাদিত পণ্য মজুত হয়ে রয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছি। আগামী ৯ মাস কী করব, তা নিয়ে এখনই আমরা চিন্তিত।
এর আগে মঙ্গলবার সংগঠনটির পক্ষে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিগত এক মাসে হস্তশিল্প খাতের বাতিল করা অর্ডারের পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ডলার। এককভাবে কেবল কারুপণ্য রংপুর লিমিটেডের ৫২ লাখ ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে গত মাসে। এতে প্রায় ৫ হাজার ৭৮০ জন শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা নিয়ে তারা এক ভয়াবহ বিপদের মুখে রয়েছে। সেই সঙ্গে স্যান ট্রেড লিমিটেডের বাতিল করা অর্ডারের পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ ডলার এবং অব্যবহৃত মজুত কাঁচামালের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস, এসিক্স লি., পেবেলচাইল্ড বাংলাদেশ লি.-এর সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ ২০- লাখ ডলারের বেশি। এ অবস্থায় প্রত্যেক হস্তশিল্প রফতানিকারকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে চরম শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। ৩০-৪০ হাজার মানুষের চাকরি/কাজ এখন সরাসরি হুমকির মুখে। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব নাগালের বাইরে চলে যাবে, যা হয়তো করোনাভাইরাস থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে। কারণ নিম্ন আয়ের হস্তশিল্প শ্রমিকরা চাকরি হারালে তাদের পরিবার-পরিজন না খেয়ে মারা যাবে।
সংগঠনটির পক্ষে আরও বলা হয়, সরকার হস্তশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনা করে হস্তশিল্পকে বাঁচাতে দ্রুত এই খাতে বিশেষ আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করবে বলে হস্তশিল্প রফতানিকারকদের স্থির বিশ্বাস। তা না হলে কোনো প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে সক্ষম হবে না।