সরকারকে শ্রমবীবী মানুষের চিকিৎসা-খাদ্যের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান
২৬ মার্চ ২০২০ ০৯:৩৭
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ জনগোষ্ঠী শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুরসহ মেহনতি মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশের চারটি নংগঠন। এছাড়া অবিলম্বে তাদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও সকল প্রকার ছাটাই-জোরপূর্বক অব্যাহতি ও লে-অফ বন্ধ করে সবেতন ছুটি দিতেও বলা হয়েছে।
বুধবার (২৫ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিদাতার হলেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এবং গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগাম সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও সরকার ন্যূনতম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেনি। দেশে চিকিৎসকদেরই আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় গণপরিবহন বন্ধ না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামমুখী হয়েছে। যা ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির মুখে দেশকে ঠেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ সবচেয়ে অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেসুযোগ সন্ধানী কতিপয় কারখানা মালিক শ্রমিকদের পাওনাবঞ্চিত করা, ব্যাপকহারে ছাটাই, জোরপূর্বক অব্যাহতি, লে-অফ ঘোষণার মাধ্যমে শ্রমিকদের ওপর জুলুম চালাচ্ছে।
এই অবস্থায় করণীয় তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুরসহ মেহনতি মানুষের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা এবং আইসুলেশন ও ভেন্টিলেশন সুবিধাসহউপজেলা পর্যায়ে করোনা ইউনিট চালু করতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, অবিলম্বে শহরে ও গ্রামে মেহনতি মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এনজিও ঋণ ও কৃষি ঋণের কিস্তি উত্তোলন বন্ধ এবং কৃষি ঋণ মওকুফ করতে হবে। এছাড়া জরুরি আদেশ জারির মাধ্যমে সকল প্রকার ছাটাই, টার্মিনেশন, বাধ্যতামূলক অবসর, লে-অফ নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং কারখানায় শ্রমিকদের সবেতন ছুটি প্রদান করতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই