দেশে নতুন ৫ করোনা রোগী শনাক্ত, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
২৬ মার্চ ২০২০ ১৫:৪৯
ঢাকা: বাংলাদেশে নতুন করে পাঁচজনের দেহে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। নতুন পাঁচজনের মধ্যে একজন বিদেশ থেকে এসেছেন। তিনজন আগের রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন। একজনের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে অনলাইনে তাদের নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানায়।
অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আক্রান্ত পাঁচজনের সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে দুজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুজনের ৪০ থেকে ৫০ এবং একজনের ষাটোর্ধ্ব।’
ড. ফ্লোরা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা গেছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯২০ জনের নমুন পরীক্ষা করা হলো।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১১ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এছাড়া পাঁচজন মারা গেছেন। আর বাকিরা হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ‘আগে কেবল আইইডিসিআরেই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। এখন জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও ঢাকা শিশু হাসপাতালেও একই পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রামেও এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ফলে এখন আমরা আগের চেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা করতে পারছি। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়েও করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন আইইডিসিআর পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। অপরিষ্কার হাতে নাক-চোখ-মুখ স্পর্শ করবেন না। সবাই ঘরে থাকুন। করমর্দন বা কোলাকুলি করবেন না। যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের নমুনা পরীক্ষা করেছিলাম। পাশাপাশি যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদেরও করেছিলাম। নিউমোনিয়ায় যারা ভুগছেন তাদেরও নমুন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন থেকে আর সেটা করবো না। এখন থেকে হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করবে। তারা আইইডিসিআরে পাঠাবে আর আমরা পরীক্ষা করব।’
এখন থেকে জেলা পর্যায়ে হটলাইন নম্বর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ড. সেব্রিনা ফ্লোরা।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা অধ্যাপক ফ্লোরা আইইডিসিআর করোনাভাইরাস করোনায় আক্রান্ত কোভিড-১৯